জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের রায় আজ

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পেতে করা আপিলের রায় আজ (রোববার) ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেবেন। রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি কার্যতালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।
এর আগে, ১৪ মে আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয় এবং ১ জুন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, যাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর মহানগরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন এবং নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার শুরু ২০১৩ সালে, যখন হাইকোর্ট এক রিটের রায়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল কার্যকর করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করলেও মূল আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় ২০২3 সালের নভেম্বরে আপিল বিভাগ আপিলটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ করে দেয়।
পরবর্তীতে দলটি পুনরায় আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন জানালে, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর সর্বোচ্চ আদালত সেটি মঞ্জুর করে এবং নতুন করে শুনানির পথ সুগম হয়। চলতি বছরের ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া শুনানি শেষে এখন রায়ের প্রতীক্ষায় রয়েছে দলটি।
অন্যদিকে, গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে একই বছরের ২৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এখন অপেক্ষা, সর্বোচ্চ আদালতের আজকের রায়ে কী সিদ্ধান্ত আসে—জামায়াত ইসলামী দল হিসেবে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাবে কি না।
১১০ বার পড়া হয়েছে