আজ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী

এই শোকাবহ স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে, বিএনপি ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী এলাকার বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরি করতেন। শৈশব ও কৈশোরের কিছু সময় তিনি গ্রামে কাটান, তারপর পিতার সঙ্গে কলকাতায় থাকতেন। দেশ ভাগের পর তিনি করাচিতে যান। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৫৫ সালে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি একটি সেক্টরের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করেন, যার জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দর্শন আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মূল ভিত্তি। তার পথ ও কর্মসূত্র আমাদের সকল সংকট মোকাবিলায় প্রেরণা জোগায়। দেশের স্বার্থ, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'

প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের স্মৃতি পালন করা হচ্ছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০:৩০ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। পাশাপাশি, মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন রয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে চাল, ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর পর্যায়ে আলোচনা সভা, খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

সারাদেশে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানের স্মৃতি স্মরণে পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করবে। দলীয় কার্যালয়গুলোতে পোস্টার, ক্রোড়পত্র প্রকাশের মাধ্যমে তার স্মৃতিকে সম্মান জানানো হবে। এই দিনটি স্মরণে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও বিশেষ ক্রোড়পত্র ও লেখালেখি প্রকাশিত হয়েছে।

এভাবেই একমনে স্মরণ করা হচ্ছে শহীদ জিয়ার অবদান ও আদর্শ, যা দেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।