‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, কাকে সাবধান করলেন পরীমনি

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ১২:১০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গানের জগৎ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত মুখ বর্ষা চৌধুরী এবার খবরের শিরোনাম হলেন নিজের মৃত্যুর গুজবে।
আজ বুধবার দুপুর থেকে ফেসবুকে আকস্মিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন এই কণ্ঠশিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সার। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুধবার দুপুরে বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে পোস্ট দেন। তাদের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা বারিশা হকও ছিলেন। তিনি নিজে নিশ্চিত না হয়েই এই খবর শেয়ার করেন, যা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। অনেকে মন্তব্য করেন, 'এটাও মনে হয় একটা নাটকীয় ঘটনা! কারণ এদের কোনো বিশ্বাস নেই!'
তবে কিছুক্ষণ পরেই বারিশা হক আরেকটি পোস্ট দিয়ে জানান, পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন যে বর্ষা চৌধুরী মারা যাননি।
এই ঘটনার পর চিত্রনায়িকা পরীমনিও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, 'রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো না হোক কোনোদিন। মৃত্যু নিয়ে এমন মজা আর নিয়েন না বা কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না ডিয়ার বর্ষা চৌধুরী। যেদিন সত্যি আপনি চলে যাবেন সেদিন আপনার জন্য শোক প্রকাশের জায়গাটা রাখেন অন্তত। জীবন সুন্দর হোক।'
বর্ষা চৌধুরী একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একজন গায়িকা, উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী এবং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ব্যক্তিগত জীবনের নানা সুখ-দুঃখের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে তিনি প্রায়শই আলোচনায় আসেন।
বর্ষা চৌধুরীর ব্যক্তিগত জীবনও কম আলোচিত নয়। বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুর পর তিনি ভেঙে পড়েন। সেই সময় তাদের সন্তানের বয়স ছিল মাত্র দেড় মাস। রুমির সঙ্গেও বর্ষার এটি দ্বিতীয় সংসার ছিল। দ্বিতীয় স্বামীকে হারানোর পর তিনি প্রায়শই রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ও ভিডিও শেয়ার করতেন।
তবে চলতি বছরের ১৬ মার্চ তিনি সবাইকে চমকে দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। পাত্র ছিলেন ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ রাসেল মিয়া। বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো কাটলেও তাদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। গত মাসে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে বর্ষা তার স্বামী রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে রাসেল মিয়া ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো খবর যাচাই না করে শেয়ার করা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। পাশাপাশি, তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের প্রতি মানুষের আগ্রহও এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট।
১১৬ বার পড়া হয়েছে