সর্বশেষ

জাতীয়কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
ফিঙ্গারপ্রিন্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারেক রহমানের এনআইডি প্রস্তুত: ডিজি
শহীদ ওসমান হাদির কবরে শ্রদ্ধা জানালেন তারেক রহমান
২৯ ডিসেম্বরের আগেই জামায়াত–এনসিপির আসন সমঝোতা চূড়ান্ত
দেশজুড়ে বাড়ছে শীত, যশোরে তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে
সারাদেশঘন কুয়াশায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ২২
সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজে ভয়াবহ আগুন, এক কর্মচারীর মৃত্যু
আন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: বেইজিং
খেলাঅনুশীলনের সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঢাকার সহকারী কোচ
আইন-আদালত

দুই যুগেও শেষ হয়নি রমনা বটমূলে বোমা হামলার বিচার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের সকালে রাজধানীর রমনা পার্কের বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন।

ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। কিন্তু হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হলেও বিস্ফোরক মামলার বিচার এখনও শেষ হয়নি।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও একজন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন না হওয়ায় গত তিন বছর ধরে বিচার আটকে আছে। আদালত বারবার শুনানির তারিখ পেছাচ্ছে। সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার আসামি আরিফ হাসান সুমনের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য বহুবার তারিখ নির্ধারিত হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তার আইনজীবী মিজানুর রহমান দাবি করেন, দীর্ঘসূত্রতা ও বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্বে আসামিকে বিনা বিচারে দীর্ঘ সময় জেল খাটানো হচ্ছে। তার মতে, “একজন আসামির আত্মপক্ষ শুনানির জন্য এত দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় না।”

২০১৪ সালে বিস্ফোরক মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়। রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ২০১৭ সালে অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এছাড়া, আরও কয়েকজন আসামি পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, ২০২২ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলাটি মহানগর আদালতে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষ অভিযোগ করছে, বিচার দীর্ঘায়িত করতেই মামলাটি স্থানান্তর করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন এবং পাবলিক প্রসিকিউটরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এখন শুধু বিস্ফোরক মামলার রায় আটকে থাকায় পুরো বিচারপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন