এসআইআর শুনানিকে ঘিরে অসন্তোষ
পোলবা-দাদপুর ও সামশেরগঞ্জে বিক্ষোভ, শুনানি সাময়িকভাবে বন্ধ
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২৩ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) সংক্রান্ত শুনানিকে কেন্দ্র করে টানা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও হুগলি ও মুর্শিদাবাদে একাধিক বিডিও অফিসে বিক্ষোভের জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় শুনানি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের অভিযোগ, বিএলএ–২ (বুথ লেভেল এজেন্ট)–দের উপস্থিত থাকতে না দেওয়ায় স্বচ্ছতা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার চুঁচুড়ার মগরা বিডিও অফিসে শুনানি বন্ধের পর মঙ্গলবার পোলবা–দাদপুর বিডিও অফিসে চুঁচুড়া ও সপ্তগ্রাম বিধানসভার শুনানিতে বাধা পড়ে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত সেখানে উপস্থিত হন। বিএলএ–দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে শুনানি হতে দেওয়া হবে না—এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। ফলে সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া শুনানি কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ফের শুনানি শুরু হয়।
অসিত মজুমদার বলেন, “নির্বাচন কমিশনের লিখিত নির্দেশ ছাড়া বিএলএ–দের বাদ দিয়ে শুনানি চলতে পারে না। সব রাজনৈতিক দলের বিএলএ–দের উপস্থিতির দাবিতেই আমরা অবস্থান করছি।” যদিও তপন দাশগুপ্ত তাঁর বিধানসভায় শুনানি বন্ধ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিএলএ–দের নিয়েই শুনানি চলছে। তবে কোথাও বিএলএ–২–দের ঢুকতে না দিলে প্রতিবাদ হওয়াই স্বাভাবিক।”
পোলবা–দাদপুরের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী শুনানিতে বিএলএ–২–দের অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে বিজেপি নেতা অর্ঘ্য চক্রবর্তীর অভিযোগ, “শুনানি সুষ্ঠুভাবে হওয়ার কথা। কিন্তু তৃণমূল বিধায়করা তা আটকে ভোটারদের বঞ্চিত করছেন।” শুনানিতে অংশ নেওয়া সাধারণ ভোটারদের একাংশও বলেন, তাঁরা কোনও বিশৃঙ্খলা চান না, কমিশনের নির্দেশ মেনেই শুনানি হোক।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে এসআইআর শুনানিকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে যায় শুনানি। স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিডিও অফিস চত্বরে স্লোগান ও বিক্ষোভ হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, এসআইআর–এর নামে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ ভোটারদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং বিএলএ–২–দের শুনানি টেবিলে বসতে দিতে হবে।
আমিরুল ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যই এই আন্দোলন। ভোটারদের হয়রানি বরদাস্ত করা হবে না।” প্রশাসনের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
১৩১ বার পড়া হয়েছে