কুষ্টিয়া–৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিকের ঘোষণা
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়া–৪ (কুমারখালী–খোকসা) সংসদীয় আসনের সম্মানিত জনগণের উদ্দেশে এক ঘোষণায় নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক জানিয়েছেন, তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনের প্রতি আস্থা রেখেই তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।
নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক বলেন, কুষ্টিয়া–৪ আসনের সার্বিক উন্নয়ন, ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তিনি জনগণের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ইনশাআল্লাহ জনগণের পাশে থেকেই তাঁদের স্বার্থে কাজ করে যাবেন।
নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিক কুমারখালী থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চারবারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র। তাঁর জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও আশাবাদ লক্ষ্য করা যায়। থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে তাঁকে বিজয়ী করা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কুমারখালী ও খোকসার তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে আনছার প্রামানিককেই ওই আসনের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন।
তবে ওই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। এ নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, শহরমুখী রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকায় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা নির্বাচনী মাঠে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামানিকের নতুন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া–৪ আসনে আবারও রাজনৈতিক আলোচনার তীব্রতা বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা।
আলোচিত এই আসনে কুমারখালী ও খোকসা- এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত মোট ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে ২০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫১২ জন।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে