ওসমান হাদি হত্যা মামলায় আদালতে অটোরিকশাচালকের জবানবন্দি
বৃহস্পতিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন।
তিনি জানান, ঘটনার দিন রিকশায় করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার সময় পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয় হাদিকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় কামাল হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
জবানবন্দিতে কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার দিন তিনি মতিঝিলের খলিল হোটেল এলাকা থেকে দুজন যাত্রী নিয়ে রিকশায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে রওনা হন। বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল রিকশার একেবারে কাছ দিয়ে চলে যায়। মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহীর একজন হঠাৎ রিকশায় বসা এক যাত্রীকে গুলি করে। এতে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, গুলিবিদ্ধ যাত্রীর নাম ওসমান হাদি।
পুলিশ সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর, ১৮ ডিসেম্বর, তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে ওসমান হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
১১৬ বার পড়া হয়েছে