শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদেশের মাধ্যমে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা হলো।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করেন। পরে গ্রেফতার হওয়া ১০ আসামিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়।
শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও শাইখ মাহদী। তারা টিএফআই সেলে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা গুম ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন।
এ মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১০ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ কয়েকজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা। অপরদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও সাতজন আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
আজকের শুনানিকে ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ১০টার পর সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া পাহারায় অভিযুক্ত ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তার বক্তব্যে বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের ভাগ্য নির্ধারিত হতো দুইভাবে- কাউকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হতো, আর অন্যদের বছরের পর বছর গুম করে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রাখা হতো।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। পরে ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পলাতক আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেন।
১২১ বার পড়া হয়েছে