বিদ্রোহী কবির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত শহীদ বিপ্লবী ওসমান হাদি
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন শহীদ ওসমান হাদি। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ৩টার দিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মানুষ জানাজায় শরিক হন।
দুপুর আড়াইটার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সকাল ১০টার দিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থানরত ছাত্র-জনতাকে প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। চীন থেকে আনা আটটি আর্চওয়ে গেট দিয়ে সারিবদ্ধভাবে হাজারো মানুষ প্লাজায় প্রবেশ করেন। দুপুর ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। মরদেহের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরা।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে