দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, গুলশানে প্রস্তুত বাসভবন ও কার্যালয়
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তনকে সামনে রেখে ঢাকার গুলশানে তার জন্য বাসভবন ও অফিস প্রস্তুত করেছে দলটি।
দেশে ফিরে তিনি গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন। ওই বাড়ির পাশেই ভাড়া করা বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্র জানায়, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তারেক রহমানের জন্য আলাদা একটি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুলশানে আরও একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি নম্বর নতুন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ঢাকায় ফিরবেন এবং তার সঙ্গে তার মেয়ে জাইমা রহমানও থাকবেন।
দলের শীর্ষ নেতার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্ধারিত দিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা তাকে সংবর্ধনা জানাবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'দেশবাসী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নেতার অপেক্ষায় রয়েছে। সেদিন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত থাকবে।'
এর আগে সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানোর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি ঐতিহাসিকভাবে খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বাড়িটি তার সহধর্মিণী খালেদা জিয়াকে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটির দলিলপত্র তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়িটির সংস্কার কাজ জোরেশোরে চলছে। সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ অংশে নতুন রং করা হয়েছে, দরজা-জানালা বদলানো হচ্ছে এবং সামনে নিরাপত্তা ছাউনি স্থাপন করা হয়েছে। সড়কের পাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সংস্কার শেষে নতুন ফার্নিচার দিয়ে বাসাটি সাজানো হবে।
এদিকে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের কক্ষের পাশেই তারেক রহমানের জন্য নতুন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তার জন্য আলাদা কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।
গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি নম্বর চারতলা ভবনটি বিএনপির নতুন অফিস হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ভবনটিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। দোতলায় ব্রিফিং রুম এবং অন্যান্য তলায় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বসার জায়গা ও গবেষণা সেলের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে মুহূর্তটির অপেক্ষায় ছিলাম, তা আর বেশি দূরে নয়। আমাদের সব প্রস্তুতি এখন তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করেই।'
সংবাদ সম্মেলনে মাহাদী আমিন বলেন, নতুন এই কার্যালয় থেকে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, আবেগ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
১১৩ বার পড়া হয়েছে