সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড আবেদন
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা অভিযোগটি আনুষ্ঠানিকভাবে মামলায় রূপ নিয়েছে। এ মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরা পশ্চিম থানায় আনিস আলমগীর, মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে ডিবি হেফাজতে থাকা আনিস আলমগীরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি কার্যালয়ে আসছেন এবং তাকে থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সাত দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার রাতে আনিস আলমগীরকে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় তিনি মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, তাঁকে ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে সন্ধ্যার দিকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ডিবি প্রধানের সঙ্গে কথা বলার কথা জানানো হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ডিএমপির ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ডিবি আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলায় মোট পাঁচজন আসামি রয়েছেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আনিস আলমগীর এক মাস আগে একটি টেলিভিশন টকশোতে মন্তব্য করেন যে, ‘আওয়ামী লীগের অপ্রকাশিত নেতারা সরকারকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে’। এ ছাড়া মামলার অপর আসামিরা তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও আইডি থেকে বিভিন্ন সময় সরকারবিরোধী ও কটাক্ষমূলক পোস্ট ও মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, এসব পোস্ট ও বক্তব্যের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং গুরুতর অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাদী পক্ষ অভিযোগসংক্রান্ত বিভিন্ন অনলাইন মন্তব্য ও লিংক সংগ্রহ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন, যা পরবর্তীতে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
পুলিশ জানায়, আনিস আলমগীরকে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি দল ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। সময় স্বল্পতার কারণে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। মামলার পলাতক অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, সম্ভাব্য নতুন আসামি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং ঘটনার বিস্তারিত উদঘাটনের জন্য তাঁকে সাত দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে