মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী সরকারি ব্যাপক কর্মসূচি
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭:২১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তির লগ্নে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাজধানী ঢাকায় দিবসটির সূচনা হবে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে। সকাল ৬টা ৩৪ মিনিট রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জিত করা হলেও ১৪ ডিসেম্বর রাতের আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে। দেশের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোতে জাতীয় পতাকা, ব্যানার ও রঙিন নিশান দিয়ে সজ্জিত করা হবে।
এ বছর বিজয় দিবসের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পরিকল্পিত হয়েছে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং। স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করবেন, যা বিশ্বরেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে সকাল ১১টা থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই-পাস্ট মহড়া এবং বিজয় দিবসের ব্যান্ড-শো অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, আনসার ও বিএনসিসির বাদ্যদলও অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জেলা-উপজেলায় তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলার আয়োজন করেছে। সকাল ৯টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ্যক্রোবেটিক শো ও সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় দিবসের গান পরিবেশন হবে। দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা।
শিশু ও শিক্ষাবিষয়ক আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন, রচনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। এছাড়া দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশুকেন্দ্রে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে। বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং শিশু পার্ক ও জাদুঘর উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার পাশাপাশি দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সারাদেশে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে