কক্সবাজারে চালু হলো অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য প্রথমবারের মতো চালু হলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট।
সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নির্মিত এই নারী বান্ধব ও প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্ত স্যানিটেশন স্থাপনাটি রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
ফিতা কেটে এটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)।
প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে নির্মিত এই পাবলিক টয়লেটকে কক্সবাজারের পর্যটন সেবায় একটি নতুন সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভবনটির নিচতলায় রয়েছে একাধিক টয়লেট ও বেসিন, চেঞ্জিং রুম, লাগেজ লকার, লন্ড্রি সুবিধা, নিরাপদ পানীয় জল, মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যানিটারি প্যাড বিতরণ ব্যবস্থা এবং এটিএম বুথ। এছাড়া দ্বিতীয় তলায় রয়েছে কপি শপ, নারীদের জন্য ব্রেস্টফিডিং কর্নার, লাইব্রেরি, মহিলাদের নামাজের স্থান ও ম্যানেজমেন্ট অফিস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের ওয়াশ অফিসার সাজেদা বেগমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ প্রধান পিটার জর্জ এল. মায়েস, কক্সবাজার ফিল্ড অফিসের ওয়াশ প্রধান মুছা ড্রামিয়া এবং আইসিডিডিআরবি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক হামিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বলেন, পর্যটকদের জন্য উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি মডেল স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে কক্সবাজারে আগত দর্শনার্থীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক হয়।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ প্রধান পিটার জর্জ এল. মায়েস বলেন, ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। তবে এই ধরনের আধুনিক স্থাপনার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিএসকে’র উপ-নির্বাহী পরিচালক হামিদুল ইসলাম জানান, ডিএসকে ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনে মোট ১৯টি পাবলিক টয়লেট পরিচালনা করছে। কক্সবাজারে এই নতুন প্রকল্প যুক্ত হওয়াকে তিনি একটি বড় দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
১৯০ বার পড়া হয়েছে