ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা
বৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুদিনের প্রতিশ্রুত ‘গোল্ড কার্ড’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে, যার মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যক্তিগত আবেদনকারীদের জন্য বিনিয়োগের ন্যূনতম অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ডলার। আর কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নির্বাচিত ব্যক্তির জন্য আবেদন করে, সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
হোয়াইট হাউসে ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচি চালু করা হয়। একই সময়ে আবেদন গ্রহণের জন্য বিশেষ ওয়েবসাইটও উন্মুক্ত করা হয়েছে। নতুন এই উদ্যোগটি ১৯৯০-এর দশকে চালু হওয়া ইবি-৫ ভিসার জায়গা নেবে; যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে চালু হয়েছিল এবং সেখানে কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ ও অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির শর্ত ছিল।
ট্রাম্পের দাবি, ‘গোল্ড কার্ড’ মডেলটি শুধু বিনিয়োগ বাড়াবে না, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন মেধাবীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনতে সহায়তা করবে। এতে সরকারি রাজস্বও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। শুরুতে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা ৫০ লাখ ডলার রাখার প্রস্তাব থাকলেও পরবর্তীতে তা কমিয়ে বর্তমান অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়।
এ কর্মসূচিতে আগের মতো কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধ্যবাধকতা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্ডধারীর সংখ্যার সীমা নেই। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলো যে ভিসাজনিত সমস্যার মুখোমুখি হয়, ট্রাম্পের মতে নতুন এই উদ্যোগ তা কমাবে।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে ১৫ হাজার ডলারের যাচাইকরণ ফি যুক্ত থাকবে এবং এই প্রক্রিয়া আবেদনকারীদের যোগ্যতা নিশ্চিত করবে। কোনো কোম্পানি চাইলে একাধিক কার্ড পেতে পারে, তবে প্রতিটি কার্ডে কেবল একজনের নাম থাকবে। লুটনিক আরও বলেন, বর্তমান গ্রিন কার্ডধারীদের তুলনায় ধনী ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে আকৃষ্ট করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের বিনিময়ে বসবাস বা অভিবাসন সুবিধাকে ‘গোল্ডেন ভিসা’ নামে পরিচিত। যুক্তরাজ্য, স্পেন, মাল্টা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় এমন কর্মসূচি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন উদ্যোগে চীন, ভারত ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের ধনী ও মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, এই কর্মসূচি মার্কিন অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক প্রতিভা আকর্ষণের পথ আরও প্রশস্ত করবে।
১২১ বার পড়া হয়েছে