সর্বশেষ

জাতীয়খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া পেছাল, কাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসছে না
আনিসুল–মঞ্জুর নেতৃত্বে ২০ দলে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘এনডিএফ’র আত্মপ্রকাশ
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত, দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে
চব্বিশের হত্যাযজ্ঞ মামলায় ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
জামায়াতের প্রতিনিধি দলের ইসির সঙ্গে বৈঠক
ডিসেম্বরে বাড়ছে শীতের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা : আবহাওয়া অফিস
ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ: বাড়লো ৬ টাকা
মোহাম্মদপুরে বাসায় মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
মালদ্বীপে হৃদরোগে আক্রান্ত দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু
সারাদেশপঞ্চগড়ে টানা দুইদিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
রমজান সামনে রেখে ছোলা-খেজুরসহ ৬ পণ্যের আমদানি জোরদার চট্টগ্রাম বন্দরে
সুন্দরবনে ৭ জেলে অপহরণ, মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি
শৈলকুপায় স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
আন্তর্জাতিকথাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও গোলাগুলি, আহত ২ সেনা
মহারাষ্ট্রে নাসিকে ৬০০ ফুট খাদে গাড়ি পড়ে নিহত ৬
নাইজেরিয়ায় অপহৃত ১০০ স্কুল শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছে সরকার
খেলাঅস্ত্রোপচার অনিবার্য; বিশ্বকাপে নেইমারের খেলা অনিশ্চিত
মতামত

জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা: গণতন্ত্রের প্রহরী ও জনমত গঠনের চালিকাশক্তি

গাউসুর রহমান 
গাউসুর রহমান 

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২৫ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
একটি জাতি যখন তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তখন সমাজের প্রতিটি স্তরের অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়ার প্রাণকেন্দ্রে থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বহুবিধ দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকেরা।

গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম ও এর কর্মীরা জাতীয় নির্বাচনে কেবল তথ্যের বাহক নন, বরং জনমত গঠন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার এক শক্তিশালী নিয়ামক। তাদের ভূমিকা কেবল সংবাদ পরিবেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি বিস্তৃত হয় বিশ্লেষণ, সমালোচনা, জনশিক্ষণ এবং ক্ষমতার উপর নজরদারির মতো ক্ষেত্রসমূহে। এর মধ্য দিয়ে তারা একটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে মজবুত ভিত্তি দেয়, এবং একইসাথে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় এই কাঠামোর দুর্বল দিকগুলোকে।

জাতীয় নির্বাচনের সময়কালে সাংবাদিকদের সবচেয়ে মৌলিক এবং সুস্পষ্ট ভূমিকা হলো ভোটারদের কাছে নির্ভুল ও সময়োপযোগী তথ্য পৌঁছে দেওয়া। একজন সচেতন ও শিক্ষিত ভোটারই কেবল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এবং এই সচেতনতা তৈরিতে সংবাদমাধ্যম অপরিহার্য। প্রার্থীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন, তাদের নির্বাচনী ইশতেহার, নীতি ও পরিকল্পনা, রাজনৈতিক দলের আদর্শিক অবস্থান এবং অতীতের কর্মকান্ড এই সবকিছু সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করা সাংবাদিকদের প্রধান দায়িত্ব। তারা কেবল কী ঘটছে তা জানায় না, বরং কেন ঘটছে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে, তা বিশ্লেষণ করে। এর মধ্য দিয়ে ভোটাররা বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে তুলনা করতে পারে, তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতা যাচাই করতে পারে এবং নিজেদের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সমস্যা, প্রত্যাশা এবং প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে সাংবাদিকেরা স্থানীয় ও জাতীয় প্রেক্ষাপটের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে, যা নির্বাচনী আলোচনার গভীরতা বৃদ্ধি করে।

তথ্যের নির্ভুলতা এবং নিরপেক্ষতা সাংবাদিকতার নৈতিকতার অন্যতম ভিত্তি। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্পর্শকাতর সময়ে, যখন জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য নানা অপচেষ্টা চলে, তখন সাংবাদিকদের উচিত কঠোরভাবে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা। গুজব, মিথ্যাচার এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করা তাদের অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ণ কর্তব্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের এই যুগে, যখন ভুল তথ্যের প্রবাহ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মূলধারার সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। তাদের উচিত তথ্যের উৎস যাচাই করা, একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া এবং জনগনকে গুজব থেকে মুক্ত রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করা। গণমাধ্যম যদি পক্ষপাতিত্বমুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগন বিভ্রান্ত হয় এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর তাদের আস্থা কমে যেতে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

সাংবাদিকদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো ক্ষমতার উপর নজরদারি করা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তারা কেবল প্রার্থীর বক্তব্য প্রচার করে না, বরং তাদের প্রতিশ্রুতি এবং কাজের মধ্যেকার অসঙ্গতিগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরে। নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের উৎস, প্রার্থীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অতীত অপরাধের রেকর্ড, সম্ভাব্য ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে উন্মোচন করা হয়। এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জনগনকে কেবল সতর্কই করে না, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের উপরও সাংবাদিকদের তীক্ষ্ণ নজর থাকে। তাদের স্বাধীন ও নির্ভীক পর্যবেক্ষণ স্বৈরাচারী প্রবণতা রোধে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। বিখ্যাত সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান যেমনটি বলেছিলেন, "গণমাধ্যম হল গণতন্ত্রের চোখ ও কান।" এই চোখ ও কান যদি অন্ধ বা বধির হয়, তাহলে গণতন্ত্রের পতন অনিবার্য।

জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকেরা একটি উন্মুক্ত আলোচনার মঞ্চ তৈরি করেন, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ, সামাজিক সমস্যা এবং জন প্রত্যাশা নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে পারে। তারা বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে বিতর্কের আয়োজন করে, যেখানে ভোটাররা সরাসরি তাদের প্রশ্ন ও উদ্বেগ উপস্থাপন করতে পারে। এই ধরনের বিতর্ক কেবল জনগনকে প্রার্থীর ক্ষমতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা দেয় না, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নীতি ও অবস্থান স্পষ্ট করতে বাধ্য করে। সাংবাদিকেরা সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হিসেবেও কাজ করেন, যাদের কথা সাধারণত মূলধারার রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসে না। কৃষক, শ্রমিক, নারী, আদিবাসী এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলিকে জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসার মাধ্যমে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। এই বহুত্ববাদী আলোচনা গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি এবং এর মধ্য দিয়েই একটি সমাজ তার বৈচিত্র্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

তবে, জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা সর্বদা মসৃণ ও চ্যালেঞ্জমুক্ত থাকে না। অনেক সময় তাদের পেশাগত স্বাধীনতা বিভিন্ন দিক থেকে হুমকির সম্মুখীন হয়। রাজনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অর্থনৈতিক প্রলোভন এবং এমনকি শারীরিক আক্রমণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তাদের পেশাকে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাপ, বিজ্ঞাপনের লোভ বা আর্থিক সুবিধা প্রদানের চেষ্টা অনেক সময় সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে। গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা বাণিজ্যিক স্বার্থও তাদের বস্তুনিষ্ঠতা হারানোর কারণ হতে পারে। অনেক দেশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিতে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশের চেষ্টা তাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়, যা স্ব-সেন্সরশিপের জন্ম দেয় এবং গণতন্ত্রের ক্ষতি করে।

গণমাধ্যম সমাজের আয়না হলেও, কখনও কখনও এই আয়না নিজেই বিকৃত হয়ে ওঠে। কিছু গণমাধ্যম গোষ্ঠী বা সাংবাদিক সংবেদনশীলতা, গুজব, পক্ষপাতদুষ্টতা বা এমনকি মিথ্যা সংবাদ প্রচারে লিপ্ত হতে পারে, যা নির্বাচনী পরিবেশকে কলুষিত করে। টিআরপি বা পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় অনেক সময় সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা বিসর্জন দিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর বা ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই ধরনের অপেশাদারিত্ব জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, আস্থার সংকট তৈরি করে এবং গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। যখন গণমাধ্যম তার মূল দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়ে দলবাজি বা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে শুরু করে, তখন জনগন তথ্য পাওয়ার প্রধান উৎস থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হুমকির মুখে পড়ে। এর ফলস্বরূপ, ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়, যা একটি সুস্থ ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে সাংবাদিকদের তাদের প্রকৃত ভূমিকা পালনের জন্য কিছু পদক্ষেপ অপরিহার্য। প্রথমত, পেশাগত নৈতিকতা ও মান বজায় রাখা প্রতিটি সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত দায়িত্ব। তথ্যের সত্যতা যাচাই, নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে থাকা অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং সাংবাদিকদের উপর কোন প্রকার চাপ বা আক্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকেও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তৃতীয়ত, মিডিয়া লিটারেসি বা গণমাধ্যম-সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সাধারণ জনগনকে শেখাতে হবে কিভাবে তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে হয়, কিভাবে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ শনাক্ত করতে হয় এবং কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব থেকে নিরাপদ থাকতে হয়। চতুর্থত, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সংস্থান এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সাংবাদিকেরা নির্ভয়ে ও কার্যকরভাবে কঠিন সত্যগুলো উন্মোচন করতে পারে। পঞ্চমত, গণমাধ্যমের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞাপন বা রাজনৈতিক অনুদানের উপর অত্যধিক নির্ভরতা কমাতে নতুন অর্থায়ন মডেল অন্বেষণ করা উচিত, যা তাদের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখবে।

জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা কেবল একটি পেশাগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডকে সতেজ ও সবল রাখার এক পবিত্র অঙ্গীকার। একটি সুস্থ ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সাহসী সাংবাদিকতা। যখন সাংবাদিকেরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, তখন জনগন কেবল তথ্যই পায় না, বরং তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়, প্রশ্ন করতে শেখে এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সাহস পায়। গণমাধ্যম যদি তার এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে, কর্তৃত্ববাদী শক্তির উত্থান সহজ হয় এবং জনগনের মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। তাই, জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের সক্রিয়, বস্তুনিষ্ঠ এবং নির্ভীক ভূমিকা অপরিহার্য। এটি কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, এটি গণতন্ত্রের সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত রাষ্ট্র নির্মাণের পথপ্রদর্শক। একটি জাতির গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে, সুস্থ জনমত গঠনে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক,  কলামিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক, বাংলা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশুলিয়া, ঢাকা। 

১৮০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন