২৮ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি শান্তি চুক্তি: খাগড়াছড়িতে ক্ষোভ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর পূর্তিতেও এর পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জুম্ম নেতৃবৃন্দ। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘসূত্রতায় রাষ্ট্রপক্ষ মূলত জুম্ম জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং চুক্তি বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ির মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন” স্লোগানে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসে জুম্ম জনগণের সঙ্গে ‘কলা ঝুলিয়ে তামাশা’ করে গেছে। চুক্তি বাস্তবায়নে রাষ্ট্র যদি সত্যিই আন্তরিক হতো তবে এত সময়ক্ষেপণ হতো না বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ২রা ডিসেম্বর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ কান্তি চাকমা এবং পরিচালনা করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। বক্তব্য দেন জেএসএস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংশুমান চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাথোয়াই অং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি কাকলী খীসা, উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদারসহ খাগড়াছড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রিয় কুমার চাকমা।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সংঘাতের পর সরকার শান্তিচুক্তি করলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং পরবর্তীতে নানা ষড়যন্ত্রে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এতে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্যের ওপর ‘ছিনিমিনি খেলা’ চলছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে নতুন করে সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে, যার ফল সুখকর হবে না বলে সতর্ক করেন বক্তারা। তাঁরা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ ৮ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই বলেও জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পাহাড়ের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
১০৭ বার পড়া হয়েছে