পিলখানা হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক জড়িতের প্রমাণ
সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফলাফল ছিল এবং এতে কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তখনকার সরকার ও রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সংযোগ থাকার বিষয়টি তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন কমিশনের সদস্যরা।
কমিশন জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা, সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে দুর্বল করা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিদ্রোহের সময় সেনা ও র্যাবের সঙ্গে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল যাতে বিদ্রোহ দমন কার্যক্রম কার্যকরভাবে সম্পন্ন না হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, বিদ্রোহের সময় পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে গুম করার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভুক্তভোগী সেনা কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতন, চোখ বের করা, পা ভাঙা এবং তাদের পরিবারের ওপর হামলার তথ্যও উঠে এসেছে। তদন্তে দেখা গেছে, বিদ্রোহে শুধু বিডিআর সদস্যরাই নয়, বাহ্যিক ব্যক্তিরাও অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকের রাজনৈতিক সংযোগও ছিল।
কমিশনের প্রতিবেদনে সেনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা, পরিকল্পনা ও কার্যকারিতা নিয়ে বিস্তৃত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ থেকে অননুমোদিত প্রবেশ এবং তার প্রভাব সম্পর্কেও রিপোর্টে উল্লেখ আছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার সুপারিশও করা হয়েছে।
প্রতিবেদন হস্তান্তর শেষে জানানো হয়েছে, এই তদন্তের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সত্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে এবং জাতি দীর্ঘদিনের অন্ধকার থেকে বের হতে পারবে।
১০৪ বার পড়া হয়েছে