সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, দর্শক টানল পাকিস্তানের থান্ডার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দুবাই এয়ার শোতে তেজসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঠিক উল্টো ছবিই তৈরি করেছে পাকিস্তানের জেএফ–১৭ থান্ডারের তুলনামূলক সফল উপস্থিতি—এ দু’টি ঘটনাই দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের আকাশসামরিক ভাবমূর্তিকে ভিন্ন দিকে টেনে নিয়েছে।

ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড তৈরি একক ইঞ্জিনের হালকা যুদ্ধবিমান তেজস প্রদর্শনী উড্ডয়নের সময় জটিল কসরত করতে গিয়ে দুবাই এয়ার শোতে বিধ্বস্ত হয়, ইজেক্ট না হওয়ায় বিমানের পাইলট ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের স্বদেশি ফাইটার প্রকল্পের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে। ২৪ বছরে এটি তেজসের দ্বিতীয় বড় দুর্ঘটনা হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মহল নকশা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পাইলট ট্রেনিং–সংক্রান্ত সম্ভাব্য দুর্বলতা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে, একই সঙ্গে চলমান ও সম্ভাব্য রপ্তানি–আলোচনা নিয়ে সংশয়ও বাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, একই এয়ার শোতে চীন–পাকিস্তান যৌথভাবে
তৈরি জেএফ–১৭ ‘থান্ডার’ নিয়মিত অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে ও স্ট্যাটিক শো–তে উল্লেখযোগ্য ভিড় টেনে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে; উপসাগরীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যম এটিকে শো–এর আকর্ষণীয় অংশগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, এই আয়োজনে জেএফ–১৭ কেনার জন্য এক ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ’ সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা থান্ডারের রপ্তানি–সম্ভাবনা ও আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতা আরও জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

ফলে একই মঞ্চে একদিকে ভারতীয় তেজসের দুর্ঘটনা ও পাইলটের মৃত্যু, অন্যদিকে পাকিস্তানের জেএফ–১৭–এর চোখে পড়া সাফল্য—দুই প্রতিবেশী দেশের স্বদেশি যুদ্ধবিমান প্রকল্পকে ঘিরে আঞ্চলিক শক্তির প্রতিযোগিতা ও ‘ইমেজ–ওয়ার’-কে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন