ড্রামে খণ্ডিত লাশ: প্রধান সন্দেহভাজন জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৫:৩৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকার হাইকোর্টের সামনে প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে পাওয়া আশরাফুল হকের খণ্ডিত লাশ হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু জরেজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ডিএমপি নিশ্চিত করেছে।
ডিবির প্রাথমিক ধারণা, ‘পরকীয়ার জেরে’ আশরাফুলকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির ‘মূলহোতা’ হিসেবে জরেজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে র্যাব-৩ জানিয়েছে, মামলার আরেক সন্দেহভাজন এবং জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে বিভিন্ন আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাকে কোথা থেকে আটক করা হয়েছে—তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি র্যাব।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেইটের কাছে একটি নীল ড্রাম থেকে ২৬ টুকরো করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুরুতে পরিচয় জানা না গেলেও আঙুলের ছাপ মিলিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেইজ থেকে লাশটির পরিচয় মেলে—রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল হক।
ঘটনার পরদিন নিহতের বোন শাহবাগ থানায় মামলা করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছিল।
নিহতের পরিবার জানায়, আশরাফুলের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। গত মঙ্গলবার তিনি বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। বুধবার বিকালে পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। পরে বেশ কয়েকবার ফোন করলে জরেজই কল রিসিভ করে জানান—আশরাফুল ব্যস্ত।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, কাঁচামালের ব্যবসায়ী আশরাফুল ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতেন এবং তার বৈধ লাইসেন্সও ছিল।
ঘটনার দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’ ও হাইকোর্ট এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও ড্রামটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুপুরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেন। সন্ধ্যায় ড্রাম খুলে পাওয়া যায় লাশের খণ্ডিত অংশগুলো।
১৬৯ বার পড়া হয়েছে