সর্বশেষ

জাতীয়

ড্রামের ভেতর লাশ : বন্ধু জরেজই সন্দেহভাজন হত্যাকারী

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের সামনের রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পলিথিনে মোড়ানো মরদেহটি গলা থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে বিভক্ত। প্রথমে মৃতের পরিচয় শনাক্ত করতে না পারলেও, পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।

নিহত আশরাফুল হক (৩৫) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের সন্তান। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানি ও সরবরাহের ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা শোকের মাতমে ভেঙে পড়েছেন।

পুলিশের তথ্যানুসারে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাইকোর্ট সংলগ্ন রাস্তার পাশে দুটি নীল রঙের ড্রাম দেখতে পান স্থানীয়রা। ড্রাম দুটি খুললে ভেতরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং এক ড্রামে চাল এবং অন্য ড্রামে খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের গলা থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ আলাদা হয়ে পড়ে। পুলিশ মনে করছে, হত্যার পর মরদেহ ড্রামে ভরা হয়েছে।

নিহতের মা এছরা খাতুন জানান, 'মোর ব্যাটাক জরেজ খায়া ফেলাইলো। মোর ব্যাটাক অয় নিয়ে গেছে। টাকা আনার জন্য জরেজ মোর ব্যাটাক নিয়ে গেইছে।'

 

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে জরেজের সঙ্গে আশরাফুলের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর জরেজ দেশে ফিরে আসেন। সম্প্রতি জাপানে যেতে চেয়েছিলেন, এজন্য টাকা ধার চেয়েছিলেন আশরাফুলের কাছ থেকে। টাকা ধার দিতে আশরাফুল রাজি ছিলো। 

তথ্য অনুসারে, আশরাফুলের বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে আসছিলেন। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করেন জরেজসহ। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।

প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, আশরাফুলের স্ত্রী ফোন দিলে জরেজের বাড়িতে যান। তখন জরেজের স্ত্রী জানান, আশরাফুল বাইরে গেছে, সে কোথায় জানি না।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরিবার ও এলাকাবাসী শোকের মাতমে ভেঙে পড়েন। বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, 'নিহত আশরাফুলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অন্য কোনো তথ্য এখন প্রকাশ করতে চান না তিনি।'

অভিযোগের তীর এখন ওই নিহতের বন্ধু জরেজের দিকে। তবে তার মোবাইল নম্বরে বারবার কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন