সীমিত পরিসরে চলছে বাস, বিপাকে যাত্রীরা
বৃহস্পতিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
নিরাপত্তা আশঙ্কা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক পরিবহন মালিক বাস সড়কে নামানো বন্ধ রেখেছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় অনেক মালিক বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তাদের আশঙ্কা, আগুনের ঘটনায় মূল্যবান গাড়ি পুড়ে গেলে ক্ষতি পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়বে, আর বাসে যাত্রী থাকলে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই আপাতত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তারা।
তবে বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে পরিবহন মালিক বা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার ভোরে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল প্রায় বন্ধ। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দু-একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। সায়েদাবাদ টার্মিনালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গ্রিন লাইন, সাকুরা ও সেন্টমার্টিনসহ কিছু বড় পরিবহন কোম্পানির সীমিত সংখ্যক বাস চলাচল করছে। তবে ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও বাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
অন্তরা পরিবহনের ধোলাইপাড় কাউন্টারের কর্মী বলেন, 'বাস চলাচল বন্ধ আছে। কখন চালু হবে তা জানা নেই। যারা অগ্রিম টিকিট বুকিং করেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।'
কিংস পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আবদুল কাদের জানান, 'ভয়ের কারণে মালিকরা বাস রাস্তায় নামাচ্ছেন না। আমাদের কোনো বাস আজ চলছে না।'
যাত্রাবাড়ীর উত্তর রায়েরবাগ এলাকার একজন যাত্রী বলেন, 'জরুরি প্রয়োজনে পটুয়াখালী যাওয়ার কথা ছিল। অন্তরা পরিবহনে অগ্রিম টিকিটও কাটা ছিল। কিন্তু সকালে কাউন্টার থেকে ফোন করে জানানো হয় বাস চলবে না। তাই শেষ চেষ্টা হিসেবে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি, যদি কোনোভাবে যাওয়া যায়।'
অন্যদিকে আল আরাফা বাস কোম্পানির মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আলম দেওয়ান বলেন, 'বাস বন্ধের কোনো সংগঠিত সিদ্ধান্ত নেই। আমরা বাস চালানোর চেষ্টা করছি। তবে আতঙ্কের কারণে অনেক মালিক নিজের উদ্যোগেই বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
১২১ বার পড়া হয়েছে