রোহিঙ্গাদের হাতে বৈধ সিম কার্ড: উখিয়া-টেকনাফে পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ ৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের হাতে প্রথমবারের মতো বৈধভাবে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের অনুমোদনে সোমবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী দিনে ইউনাইটেড কাউন্সিল অব রোহাং (ইউসিআর)-এর নবনির্বাচিত সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের হাতে প্রতীকীভাবে সিম কার্ড প্রদান করা হয়।
আরআরআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে সিম কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সফলতা মূল্যায়নের পর ধাপে ধাপে আরও সিম বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, 'রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত অবৈধ সিম কার্ডগুলো দ্রুত ব্লক করা হবে। শুধুমাত্র বৈধ সিম ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং অবৈধ যোগাযোগের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ কমে আসবে।'
দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিভিন্ন অপারেটরের অবৈধ সিম ব্যবহার করে আসছিলেন, যা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলতি বছরের আগস্টে সরকার রোহিঙ্গাদের বৈধ সিম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিটিআরসি ও চারটি মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সাধারণত সিম বিক্রিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক যাচাই প্রয়োজন হয়। তবে রোহিঙ্গাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিকল্প হিসেবে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) প্রদত্ত নিবন্ধন নম্বর বা ‘প্রোগ্রেস আইডি’র ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সিম দেওয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে মোবাইল অপারেটররা আলাদা নম্বর সিরিজ চালু করেছে।
ইউএনএইচসিআরের রোহিঙ্গা ডেটাবেস বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত থাকবে। পরবর্তীতে এসব তথ্য সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।
পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ১০ হাজার সিম কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
১০৫ বার পড়া হয়েছে