পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন, ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৫)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়, সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, নিহত মামুন একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
গুলির ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন, এ সময় দুই ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো ঘটনাটি ঘটে যায়। গুলি করার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার অভিযোগ করেছেন, ইমনের অনুসারীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাঁর দাবি, ইমনের লোকজন আগেও মামুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, দুই দিন ধরে মামুন রাজধানীর বাড্ডার একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। সোমবার সকালে তাঁর আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল, সে কারণেই তিনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ইমন ও মামুন একসময় হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় ‘ইমন–মামুন বাহিনী’ নামে একটি সন্ত্রাসী চক্র পরিচালনা করতেন। তাঁরা চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তারিক সাইফ মামুনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে, জন্ম ১৯৭০ সালে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন জানান, গুলির শব্দ শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুনকে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খুব কাছ থেকে তাঁকে একাধিক গুলি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহতের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে