প্রেমসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড হতে পারে : পুলিশ

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় খুন হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন (২৩)।
হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভবনটির একটি ফ্ল্যাটে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন জোবায়েদ। ওই ছাত্রী ও তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ঘটনার জটিলতা জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ছাত্রীটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
বংশাল থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করতেন। বিষয়টি তাঁর প্রেমিক জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হন এবং গতকাল বিকেলে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত তরুণ নাকি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একই এলাকায় বসবাস করেন।
এদিকে, জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত জানিয়েছেন, তাঁরা ছয়জনকে আসামি করে মামলা করতে চাইলে বংশাল থানার ওসি তাঁদের ‘কম লোকের নাম দিতে’ পরামর্শ দেন। তবে ওসি রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, মামলা নিতে তাঁরা প্রস্তুত এবং পরিবার যাঁদের নামে মামলা দিতে চাইছে, তাঁদের নামেই মামলা গ্রহণ করা হবে।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার রাতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতীবাজারে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা বংশাল থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং রাতভর অবস্থান করেন।
জোবায়েদের পরিবার দ্রুত বিচার ও দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
১২৭ বার পড়া হয়েছে