সর্বশেষ

জাতীয়

পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রোববার সারাদেশে মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:৪২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত ‘জুলাই স্বীকৃতি’ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে পুলিশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোড়ে এবং লাঠিপেটা চালায়। পাশাপাশি, আন্দোলনকারীরা পুলিশি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য ‘জুলাই যোদ্ধা’রা রোববার (১৯ অক্টোবর) প্রতিটি জেলায় তিন ঘণ্টার মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। এই কর্মসূচি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সাধারণ জনগণও এই অবরোধে অংশ নেবে এবং আন্দোলনে সমর্থন জানাবে।

সংসদ ভবন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ সংসদের প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা সৌরভ বলেন, “আমাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের স্বার্থে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিহত ও আহত ‘জুলাই’ শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ স্বীকৃতি, আহত ও পঙ্গু পরিবারের পুনর্বাসন এবং দায়মুক্তি ও সুরক্ষা আইন। এসব দাবির স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি যদি মানা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এই রাষ্ট্রে আর কোনো বিপ্লবের জন্ম হবে না। আমাদের দাবি, আলী রীয়াজ স্যার যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরিত সনদের বিরোধ রয়েছে। তিনি আহত ও শহীদ পরিবারের আইনি নিরাপত্তার কথা বলেছেন, যা সনদে উল্লেখ নেই। এটি এক ধরনের প্রতারণা বলে মনে করি।”

মাসুদ রানা সৌরভ জানান, গত এক মাস ধরে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আশ্বাস পেলেও, চূড়ান্ত স্বীকৃতি সনদে দাবি সংযুক্ত না হওয়ায় তারা সংসদ ভবনের গেটে অবস্থান নেন। শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান শেষে, সকাল ১০:৩৫ মিনিটে তারা সনদ স্বাক্ষর মঞ্চ দখল করেন। তিন মিনিটের মধ্যে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে বসিয়ে দেন, কিন্তু পরে পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিপেটা ও বুট দিয়ে আঘাত করে, যা তারা নিন্দা জানায়।

তিনি বলেন, “অভিযোগ রয়েছে, আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ তা না মেনে আক্রমণ চালায়। তারা আমাদের নির্যাতন চালায় যেন এ রাষ্ট্রের জন্য আমরা বিশেষ যন্ত্রণার কারণ। আমাদের আন্দোলন দমন করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

১১০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন