অভাবমুক্ত, সংস্কৃতিমনা ও উন্নত কুমারখালী-খোকসা গড়ে তোলাই লক্ষ্য: শেখ সাদী

বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি শেখ সাদী বলেছেন, মানুষের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে আগে নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষ দিনে তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারে এবং প্রতিটি শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তিনি বলেন, “জনগণ যা চাইবে, সেটাই আমার রাজনীতি। কুমারখালী-খোকসাকে আমি একটি পরিবার মনে করি, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।” একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী শেখ সাদী রাজনীতিকে দেখেন সেবার জায়গা হিসেবে, ক্ষমতার নয়। তিনি বিশ্বাস করেন, “উন্নয়ন কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়; সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই হবে- জনগণের শক্তির ওপর কোনো শক্তি নেই।” তরুণ এই স্বপ্নবাজ নেতা দীর্ঘ সময় নিয়ে কথা বলেছেন 'এইমাত্র' অনলাইনের সঙ্গে। এ সময় বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন 'এইমাত্র' অনলাইনের সম্পাদক ও প্রধান সম্পাদক।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী বলেন, রাজনীতিতে আমার উত্থানটা পারিবারিকভাবেই শুরু। আমরা পরিবারগতভাবে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। ছোটবেলা থেকেই বাবা জিয়াউর রহমানের শাসনামলের গল্প করতেন- তখনই আমাদের মধ্যে দেশের জন্য কিছু করার এক ধরনের অনুপ্রেরণা জেগে উঠত। তবে ২০০০ সালের পর ব্যবসায় মনোযোগী হই, ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় হতে থাকে, ফলে সরাসরি রাজনীতিতে না থাকলেও বিএনপির সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলাম।
২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন আমার বিবেককে নাড়া দেয়। তখন মনে হলো- শুধু ব্যবসা করে ভালো থাকা নয়, দেশের জন্যও কিছু করতে হবে। সেই থেকেই আমি সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। ইনশাল্লাহ, মাঠের রাজনীতিতে আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছি এবং কুষ্টিয়ার মানুষের জন্য পরিবর্তনের রাজনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি ও উন্নয়ন- এই দুটোকে একসাথে নিয়ে চললেই জনগণের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব।
আমি একজন ব্যবসায়ী হলেও ইতিমধ্যেই আমার নির্বাচনী এলাকায় এক হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বহু সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত আছি, নিজের অর্থায়নে স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণ করেছি, খেলাধুলার উপযোগী মাঠ তৈরি করেছি, শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এই কাজগুলো আমার বাবার কাছ থেকেই শেখা।
আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বড় কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই রাজনীতিতে আমার সম্পৃক্ততা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়- এলাকার মানুষের প্রয়োজনে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিন্তাধারায় আমি অনুপ্রাণিত। তারা দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে দীঘ সংগ্রাম করেছেন, সেই আদর্শকে বুকে ধারণ করেই আমি নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ১৫/১৭ বছরে বিএনপির বহু নেতা-কর্মী নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন, মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। আমি যেহেতু একজন ব্যবসায়ী, তাই আমার সামর্থ্যের মধ্যে থেকে তাদের সহায়তা করেছি- মামলার অর্থসহায়তা, আন্দোলনে সম্পৃক্ততা- সব ক্ষেত্রেই পাশে থেকেছি।
অনেকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার। আমার ব্যবসা সম্পূর্ণ পারিবারিক। আমার বাবা শুরু করেছিলেন, পরে আমি ও আমার স্ত্রী সেটি পরিচালনা করছি। কোনো রাজনৈতিক সুবিধা বা কারও সহায়তা নিয়ে এই ব্যবসা গড়ে ওঠেনি।
আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপবাদ রটানো হচ্ছে- এগুলো গুটিকয়েক প্রতিপক্ষের অপচেষ্টা। আমি দৃঢ়ভাবে বলছি, যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে সামান্যতম সত্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি সেদিনই রাজনীতি ছেড়ে দেব।
আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি মানে শুধু মিছিল-মিটিং নয়- এর পেছনে অর্থনৈতিক ও মানসিক সাপোর্টও লাগে। আমি ব্যবসা ও রাজনীতিকে সমন্বয় করে চলি, কারণ আমি চাই ক্লিন ও ডেভেলপমেন্টমুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক।
বাংলাদেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটিই আজ দেশের পথনির্দেশক দলিল। এই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের রূপরেখা- যার বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাঠে নেমে কাজ করছি।
শেখ সাদী বলেন, আমার বিশ্বাস, রাজনীতি কখনো পেশা হতে পারে না; রাজনীতি হতে হবে সেবার ক্ষেত্র। যারা রাজনীতিকে পেশা বানায়, তারা নিজের স্বার্থে কাজ করে, দেশের জন্য নয়। তাই আমি সবসময় বলি- "No work, no politics" -কর্মহীন লোকের জন্য রাজনীতি নয়।
আমি চাই রাজনীতিতে আসুক মেধাবী, শিক্ষিত, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তরুণ প্রজন্ম- যারা দেশের জন্য, মানুষের জন্য, নিজের বিবেকের জন্য কাজ করবে।
আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে আমি শুধু এটুকুই বলব- আপনারা আমাকে চেনেন, আমার কাজ জানেন। আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করাই আমার লক্ষ্য। দল-মত নির্বিশেষে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে প্রায় দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমারখালীতে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছি- এর মূল লক্ষ্য ব্যবসা নয়, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমি নির্বাচিত হই, আমার অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুমারখালী-খোকসাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলব।
আমার জীবনের নীতি একটাই- সততা, সেবা আর উন্নয়ন। আমি কাউকে ঠকাইনি, কারও ক্ষতি করিনি, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও করব না।
আমার রাজনীতি আমার বাবার শেখানো সেই মানবিকতার পাঠ থেকেই শুরু- আর সেটাই আমি আজও ধরে রেখেছি। আমি রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাই, ন্যায়ভিত্তিক ও সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই- যেখানে থাকবে না হিংসা, থাকবে না বিভেদ; থাকবে শুধু মানুষের কল্যাণের রাজনীতি।
শেখ সাদী বলেন, আমি বিশ্বাস করি- মানুষের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে আগে নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষ দিনে তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারে, আর প্রতিটি শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়। সেই খাবারে অবশ্যই পুষ্টি থাকতে হবে। কারণ এই শিশুরাই একদিন এমপি, মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রী হবে।
আমরা যখন দেখি, বিদেশে রাতে ১২টা বা ১টার সময়ও ছেলে-মেয়েরা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়, তখন প্রশ্ন জাগে-আমরা আসলে কোন দেশে আছি? আমাদেরও এমন একটি দেশ গড়তে হবে যেখানে প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু দ্বন্দ্ব থাকবে না। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব, কিন্তু জীবন বিসর্জন দেব না।
আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আল্লাহ আমাকে টাকা-পয়সা, সম্মান- সবই দিয়েছেন। তবু আমি শুধু নিজের জন্য ভাবিনি। কুমারখালী-খোকসার মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই মনে করি, সমাজ ও দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব কিছুটা পূরণ হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার পথ খুলে যাবে। এই বিশ্বাস থেকেই রাজনীতিতে এসেছি। আমার রাজনীতি অন্য কারও মতো নয়। জনগণ যা চাইবে, সেটাই আমার রাজনীতি। কুমারখালী-খোকসাকে আমি একটি পরিবার মনে করি। তাই উন্নয়নের জন্য সবাইকে একসাথে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়াকে বলা হয় সাংস্কৃতিক রাজধানী। কুমারখালীর পরিচিতিও লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাঙাল হরিনাথ, মীর মশারফ ও বাঘা যতীনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদের ঘিরে একটি মিউজিক স্কুল বা মিউজিক ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এখনো কিছুই হয়নি। এই মানুষদের নিয়ে খামখেয়ালি করার অধিকার কারও নেই।
আমি চাই কুমারখালী-খোকসাকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুক। স্থানীয় প্রেসক্লাবগুলোকে আধুনিক করা দরকার, যাতে অতিথিরা থাকতে পারেন। আমি নিজেই কুমারখালীতে হাসপাতালের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা রাখছি, যেন বাইরের অতিথিদের কুষ্টিয়ায় যেতে না হয়- এখানেই যেন থাকতে পারেন।
স্বপ্নবাজ নেতা শেখ সাদী বলেন, তাঁতশিল্প কুমারখালীর ঐতিহ্য। কিন্তু পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি প্রস্তাব করছি, বড় জমি অধিগ্রহণ করে তাঁত ব্যবসায়ীদের প্লট দেওয়া হোক। এতে তাঁরা সহজে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারবেন। আমার বড় একটি পরিকল্পনা হলো- গড়াই নদীকে ঘিরে কুষ্টিয়াকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।
উন্নয়ন কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই হবে। জনগণের শক্তির ওপর কোনো শক্তি নেই। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কুমারখালী-খোকসার উন্নয়ন করতে হবে।
শেখ সাদী বলেন, সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা যদি অন্যায়-অবিচার তুলে ধরেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমার সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু ইচ্ছাশক্তি ও জনগণই আমার মূলধন। আমি সর্বদা জনগণের সঙ্গে থাকব, কুমারখালী-খোকসার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।
অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন-আমি যখন ব্যবসা, অর্থ ও সম্মান সবই পেয়েছি, তখন কেন পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে এলাকার মানুষের জন্য এত দৌড়ঝাঁপ করছি? আমি বলি- শুধু নিজের কথা ভাবলে চলবে না। সমাজ, দেশ ও এলাকার জন্য অবদান রাখা জরুরি। মানুষের কল্যাণে সামান্য কিছু করতে পারলেও আমি মনে করি, সেটিই আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার পথ খুলে দেবে।
আমার রাজনীতি ভিন্নধর্মী- কারও সঙ্গে তুলনা চলে না। জনগণ যা চাইবে, আমি তাই করব। আমার কাছে সবাই সমান। কুমারখালী-খোকসা আমার কাছে একটি পরিবার, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
আমি কুমারখালীতে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করছি, যা ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে। লক্ষ্য হলো-ঢাকায় না গিয়ে এখানেই মানসম্মত চিকিৎসা নেওয়া যাবে। হাসপাতালটিতে ২৭টি রুম থাকবে, ভাড়া দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। এতে রোগী ও চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাঙাল হরিনাথ ও মীর মশাররফ হোসেন- এই চারজনকে ঘিরেই কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক পরিচিতি। এখানে একটি মিউজিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সংস্কৃতিনগরী গড়ে তোলা সম্ভব, কিন্তু এতদিন সঠিক পরিকল্পনার অভাবে তা হয়নি। এই মহাপুরুষদের নিয়ে অবহেলা বা খামখেয়ালি করা কারও উচিত নয়।
তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য রক্ষায় আমি চাই কুমারখালী বা আশপাশের এলাকায় শত শত বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে তাঁত ব্যবসায়ীদের জন্য প্লট তৈরি করা হোক। এতে তাঁরা ব্যাংক ঋণ নিতে পারবেন এবং হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
প্রেসক্লাবগুলোতে তিন থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করে থাকার ব্যবস্থা করা গেলে ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য সুবিধা হবে। খোকসা একটি বাণিজ্যিক এলাকা, এখানে পাট ব্যবসার জন্য অনেকে ঢাকা থেকে আসেন- তাদের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
খোকসা ব্রিজের জন্য ২৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। এটি সিডনি ব্রিজের আদলে নান্দনিকভাবে তৈরি হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামী জানুয়ারিতেই কাজ শুরু হবে।
দৌলতদিয়া ও পাবনার মধ্যে ব্যারেজ নির্মিত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, নদীভিত্তিক শিল্প, পর্যটন নগরী গড়ে উঠবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়ে কুষ্টিয়াকে কক্সবাজার বা সিলেটের মতো পর্যটন নগরী বানানো সম্ভব।
সন্ত্রাসীরা খুব বেশি নয়। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে বড় বড় রাষ্ট্রযন্ত্রও ভেঙে পড়েছে- এ ইতিহাস আমাদের জানা আছে। তাই জনগণ যা চাইবে, তা বাস্তবায়নে দেরি হবে না।
শেখ সাদী বলেন, বয়স ও অভিজ্ঞতায় আমি হয়তো ছোট, কিন্তু আমার মূলধন হলো মনোবল ও সাধারণ মানুষের শক্তি। স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন, তাহলে চাঁদাবাজি, বালুমহালসহ সব অন্যায়-অত্যাচার দমন করা সম্ভব।
উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কুমারখালী-খোকসাকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ চালিয়ে যাব। আমার লক্ষ্য একটাই- ক্ষুধা ও অভাবমুক্ত, সংস্কৃতিমনা ও উন্নত কুমারখালী-খোকসা গড়ে তোলা।
১৯৯ বার পড়া হয়েছে