সর্বশেষ

সারাদেশ

আজ গাউসুর রহমানের জন্মদিনে ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১:২৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
আশির দশকের প্রখ্যাত কবি ও প্রাবন্ধিক গাউসুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হবে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন। আজ বুধবার, ৮ অক্টোবর, বিকেল ৪টায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে (দ্বিতীয় তলা) এই আয়োজন করা হয়েছে। 

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনিছা পারভীন, ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ জয়নাল আবেদীন খান। এ ছাড়া, কবি গাউসুর রহমান নিজেও তার অনুভূতি প্রকাশ করবেন।

অতিথি ভাষণে অংশ নেবেন কবি শামসুল ফয়েজ, কবি সোহরাব পাশা, প্রফেসর আলী ইদ্রিস, প্রফেসর মঈন হুদা, কবি ও সাংবাদিক সৌরভ জাহাঙ্গীর, ছড়াকার ও গবেষক স্বপন ধর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ উল্লাহ। অনুষ্ঠান শুরু হবে কবি স্বাধীন চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। আর পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন স্বর্ণা চাকলাদার ও জুবায়েদ ইবনে সাঈদ।

 

কবি গাউসুর রহমান জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ বাবু ও সদস্য সচিব স্বাধীন চৌধুরী এই আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতিসহ সকল সৃজনশীল ও সাহিত্যানুরাগীদের উপস্থিত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

একজন সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতি অনুরাগীর জন্য এটি এক অনন্য আয়োজন। যেখানে কবিতা ও সাহিত্য প্রেমীরা একত্রিত হয়ে স্মরণ করবেন গাউসুর রহমানের অসামান্য জীবন ও সাহিত্যকর্ম।


এক নজরে কবি ও গবেষক গাউসুর রহমান:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন নিবেদিতপ্রাণ কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলামিস্ট গাউসুর রহমান বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এরআগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

১৯৬৫ সালের ৮ অক্টোবর ময়মনসিংহের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া এই বহুমুখী ব্যক্তিত্বের পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান এবং মাতা হোসনে আরা বেগম। তিনি তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান।

শৈশব থেকেই সাহিত্যচর্চার প্রতি অনুরাগী গাউসুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-গবেষণা, ফিচার ও কলাম লেখাসহ সাহিত্যের প্রায় সব ধারায় তাঁর সৃজনধারা অব্যাহত রেখেছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং পরে আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবন শুরু করেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বাংলা বিভাগে।

নিজস্ব ভাষা ও কাব্যধারায় স্বকীয়তার পরিচয় দেওয়া এই কবি এখন পর্যন্ত ৬৫টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইয়ের তালিকায় রয়েছে-

কবিতা: মায়াবিনী নক্ষত্রের পাখি,ঝিনুকে নেই মুক্তো, তাস খেলা পাশা খেলা, ভালোবাসার পকেট খালি থাকে না, হেটে আসে তোমার অন্তর, এই হাতে বীনা বাজে না, আমার দুঃখের দাবানলে পুড়ে না সমুদ্র, সমুদ্রের নোলা জলে তোমার ভালোবাসা, তোমার ছায়ারা হাটে আমার পিছু, যার গলনালিতে মৃত্যুর ধুতরা বীজ, মেঘ বৃষ্টিতে প্রেমের ঘোর, যে হৃদয় শরণার্থী চিরকাল, পূর্ব মেঘে বৃষ্টির রঙ, দুঃখগুলো ফিরে আসে আপন ভিলায়, তোমার হৃদয়ের সংবাদদাতা।

প্রবন্ধ / গবেষণা: নজরুল-সাহিত্যে সামাজিক-রাজনৈতিক-সাহিত্যিক বিদ্রোহ, নজরুল ও অন্যান্য প্রবন্ধ, নজরুলের কবিতার মূল প্রবর্তনাসমূহ, নজরুল সাহিত্যের বিষয়-আশয়, চেতনায় নজরুল, কবিতার জীবনানন্দ দাশ, ফররুখ আহমদ মানবতার কবি, কবিতার শামসুর রহমান, আল মাহমুদের কবিতার বিষয়-আশয়, অনীক মাহমুদের কবিতাযাপনের সূত্র, জসীমউদ্দীন ও অন্যান্য, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য, সাহিত্য সমালোচনা, রাহাত খানের গল্প ও উপন্যাস: বিষয় ও শিল্পরূপ, আবু ইসহাকের সাহিত্য ভুবন, ময়মনসিংহের ইতিহাস ঐতিহ্য, জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, মোজাম্মেল হোসেন মিন্টুর কথাসাহিত্য: বিষয় ও শিল্পপ্রকরণ, দেশাত্মবোধের কবি।

উপন্যাস: ভালোবাসার কানে কানে কথা, প্রণয় নদীর তরঙ্গ, অন্ধকারের ফিসফিসানি,স্বপ্নের নদীর তীরে।

গল্প: পরিণয় সৌরভ, প্রেম প্রেম খেলা।

‘জাতিসত্তার কবি: মুহম্মদ নূরুল হুদা’ এবং ‘কবিতার শামসুর রাহমান’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমান, ফররুখ আহমদ, জসীমউদ্দীন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে তাঁর একাধিক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

সাহিত্য ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহু সম্মাননা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি রাজধানীতে ‘অতিশ দীপঙ্কর পরিষদ’ তাঁকে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এছাড়াও তিনি ঢাকার চিন্তাসূত্র পুরস্কার, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব পদক, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকার সম্মাননা, ঢাকার শ্যামলী সাহিত্য পুরস্কার এবং ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।

অদম্য সাহিত্যানুরাগী ও গবেষক গাউসুর রহমান তাঁর লেখনী ও গবেষণার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের নানা দিক উন্মোচন করে চলেছেন। তাঁর কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত তাঁর সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী লেখা ইতিমধ্যে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন