টেকসই জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২:২০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ও গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আর দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে পারে না। এখনই সময়, বড় পরিসরে সৌরবিদ্যুৎসহ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রযুক্তিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার।”
সভায় কার্ল পেজ বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক ও হাইব্রিড প্রযুক্তি বিশ্বে শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন এবং দীর্ঘমেয়াদে শিল্প খাতকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।
তিনি আরও জানান, বিশ্বব্যাংকসহ বড় আন্তর্জাতিক অর্থদাতারা বর্তমানে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী। ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে এমন প্রযুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই সম্ভাবনা রয়েছে।
কার্ল পেজ আরও বলেন, “উদ্ভাবনে বাংলাদেশের সক্ষমতা আছে। সঠিক বিনিয়োগ ও পরিকল্পনা থাকলে দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য স্থিতিশীলতা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতাও বাড়বে।”
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য সৌরবিদ্যুতের প্রসার ত্বরান্বিত করা। তবে পারমাণবিক বিকল্পে এগোনোর আগে গভীর গবেষণা এবং সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই এসব উদ্ভাবনী সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবো। তবে প্রতিটি প্রযুক্তির সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা করতে হবে। একটি বিষয় নিশ্চিত—জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা দ্রুত কমাতে হবে।”
ভার্চুয়াল সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
১১৪ বার পড়া হয়েছে