ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি, লাইফ সাপোর্টে

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে (ভেন্টিলেশনে) রয়েছেন।
শিল্পীর ছেলে ইমাম নিমেরি উপল জানান, শনিবার (আজ) দুপুরে চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানানো হয়েছে যে, ফরিদা পারভীনের অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। চিকিৎসকদের পরামর্শে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছিল তাঁকে। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে, এবং সেখান থেকেই তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফরিদা পারভীনের কিডনি ও মস্তিষ্ক কাজ করছে না। ফুসফুসে সংক্রমণ, হার্টের অনিয়মিত স্পন্দন এবং রক্তচাপ অতিমাত্রায় কম থাকায় ডায়ালাইসিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রক্তের সংক্রমণও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, “শিল্পীর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
ফরিদা পারভীনের স্বামী, যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেন, “গত কয়েক মাসে তাঁকে চারবার আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়েছে। কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি শরীর খুবই দুর্বল। হাঁটাচলার শক্তিও নেই।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কিডনি ও ফুসফুসের পাশাপাশি ফরিদা পারভীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের সমস্যায়ও ভুগছেন।
সংগীত জীবনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন ফরিদা পারভীন। এছাড়া ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার ও ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষা দিতে গড়ে তুলেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’।
এই বিশিষ্ট শিল্পীর জন্য পরিবার ও চিকিৎসকরা দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে