সর্বশেষ

সারাদেশ

খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশুদ্ধ পানি প্রকল্পের উদ্বোধন

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি

বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:২৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা রেজামনি পাড়া ও কারিগরপাড়ার ১২০টি পরিবার এখন থেকে পাচ্ছে সৌরবিদ্যুৎচালিত বিশুদ্ধ খাবার পানি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এই টেকসই পানি সরবরাহ প্রকল্পটি সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৯ মার্চ সেনাপ্রধান রেজামনি পাড়া আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটের বিষয়টি firsthand জানতে পারেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কারবারি এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তিনি বাস্তবধর্মী উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দেন।


এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের অংশ হিসেবে সৌরবিদ্যুৎচালিত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেয়। সম্প্রতি প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ (এইচডিএমএস, এএফডব্লিউসি, পিএসসি)।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ খাদেমুল ইসলাম, পিএসসি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাপ্রধানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও আবেগ থেকেই এই বিশুদ্ধ পানি প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।”


তিনি আরও বলেন, “সেনাপ্রধান এই এলাকায় চাকরি করেছেন, তাই এই জনগণের প্রতি তাঁর একটি আলাদা মমতা কাজ করে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এ অঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে। সেনাবাহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।”


ইতিপূর্বে রেজামনি ও কারিগরপাড়ার মানুষ ঝিরি ও কূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে জীবনধারণ করতেন। এখন তারা বাড়িতে বসেই পাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি, যা তাদের জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এনেছে।

এলাকাবাসী সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আগে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দূর-দূরান্ত থেকে পানি আনতে হতো। এখন তা আর করতে হয় না। সেনাবাহিনীর জন্যই আমরা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি।”

সেনাবাহিনীর এই মানবিক উদ্যোগ পাহাড়ি এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে শুধু নিরাপত্তাই নয়, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

১৫৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন