গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ এ পৌঁছেছে

এর মধ্যে ৩২ জন গাজার শহরে নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে দুজনই শিশু।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজা শহরের বহু ভবন ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামলায় অন্তত ৫০টির বেশি ভবন ধ্বংস ও আরও শতাধিক ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা অভিযোগ করে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তুচ্যুত পরিবারের শিবিরসংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানছে, যার ফলে বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টির বেশি তাঁবু ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, "একটির পর এক সুউচ্চ ভবন ভেঙে পড়ছে, যা হৃদয়বিদারক। এ দুর্ঘটনা শুধু ভবন ধ্বংসের ওপর সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের জীবন রক্ষাকারী সেবাগুলোর অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের দুই বছর পার হলেও পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ।"

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের হামলায় নিহতের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালউশাওও রয়েছেন। পাশাপাশি, মানবিক সংকটের কারণে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে দুজন শিশু রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, "ইসরাইল একের পর এক যুদ্ধাপরাধ করছে, গাজার ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিচ্ছে। তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) জবাবদিহি করার দাবি জানিয়েছেন।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত জানুয়ারিতে আদালত ইসরাইলকে গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল।

অপরদিকে, ইসরাইলের হামলার কারণে মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। সাহায্য পাঠানো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য, ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামাদি সংকট দেখা দিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।