সর্বশেষ

সারাদেশ

তালায় খাদ্যে বিষ মিশিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, আদালতে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা  
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা  

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে পরিবারের আরও পাঁচ সদস্যকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

এ ঘটনায় সিরাজ শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) নিহত বেলায়েত গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর গাজী মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলী আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার গ্রহণ করে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে থানায় ইউডি বা কোনো নিয়মিত মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মৃত ওসমান শেখের তিন ছেলে—সিরাজ শেখ (৪০), তফুর শেখ (৪৫) ও আঃ গফুর শেখ (৫০) এবং একই গ্রামের রফিকুল শেখের ছেলে মঈন শেখ (৩২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে বাদী জাহাঙ্গীর গাজী বাজার থেকে ফিরে খাওয়ার সময় স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকি করেন। কেউ সাড়া না দেওয়ায় তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান, তার পিতা বেলায়েত গাজী (৭৫), মা ছবিরোন নেছা (৬০), স্ত্রী রোহনা বেগম (২৮), ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানা সুলতানা (২৩), ভাইপো রোহান বাবু (৩) ও ছেলে সামিউল গাজী (৫)—সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।

স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দ্রুত তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ২৪ আগস্ট বেলায়েত গাজীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ২৫ আগস্ট ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ওইদিন সন্ধ্যার মধ্যে গোপনে বাদীর বাড়িতে ঢুকে রান্না করা খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়। এতে বৃদ্ধ বেলায়েত গাজী মারা যান এবং অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বাদী অভিযোগ করেন, মামলার প্রধান আসামী সিরাজ শেখ তার স্ত্রী রোহনা বেগমকে কুপ্রস্তাব দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়টি প্রতিবাদ করায় সিরাজ শেখ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। রোহনা বেগম সুস্থ হওয়ার পর জানান, ঘটনার দিন আসামিরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিল। এছাড়া মামলার সাক্ষী রেহেনা খাতুন ও রেজাউল শেখ আসামিদের দ্রুত সরে যেতে দেখেছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইনউদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে শুনেছি ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।”

অন্যদিকে, মামলার প্রধান আসামী সিরাজ শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন