সর্বশেষ

জাতীয়প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভয়াবহ হামলা, অগ্নিসংযোগ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর নেই
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
জুলাইয়ের হত্যা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
জিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি'র জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ আজ
হাদি হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের পালাতে ব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ার পেছনের তথ্য ফাঁস
সারাদেশসারাদেশে জোরদার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’
ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে
নেত্রকোনা সীমান্ত এলাকায় বিদেশি মদ উদ্ধার
চিলমারীতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে এনসিপির জেলা কমিটি ঘোষণা, নেতৃত্বে সাবেক বিএনপি নেতারা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
এনায়েতপুরে জামিয়াতুল হাসানাইন'র দুই দিনব্যাপী মহাসমাবেশ শুরু আজ
আন্তর্জাতিকগাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
খেলাএমবাপের জোড়া গোলে তালাভেরার বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি জয়
সারাদেশ

৩ বছরেও বৃত্তির টাকা মেলেনি, হতাশ দৌলতপুরের ১৯৩ শিক্ষার্থী 

আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ৩:০১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
তিন বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় বৃত্তি পেলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় চরম হতাশা ও ক্ষোভে ফুঁসছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলার ২৮৪টি বিদ্যালয় থেকে মোট ২,৩১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মেধা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি অর্জন করে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী, এসব শিক্ষার্থীকে মাসে ৩০০ টাকা করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও এখনো অধিকাংশ শিক্ষার্থী তা থেকে বঞ্চিত।

“শুধু আশ্বাস, সমাধান নয়”

ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করেও তারা কোনো নির্ভরযোগ্য উত্তর পাননি। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া ছাত্র আবু ওবাইদুল্লাহ সিদ্দিক জানায়, "আমার দুই বন্ধু সম্প্রতি টাকা পেলেও আমি এবং আরও অনেকে এখনও কিছু পাইনি।"

তিন বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের একজনের মা তহমিনা খাতুন বলেন, “আমার মেয়ে পরিশ্রম করে বৃত্তি পেয়েছে। এখন টাকা না পেয়ে সে মনোবল হারাচ্ছে।” অন্যদিকে অভিভাবক বুলবুল আহমেদ বলেন, “এটি শুধু টাকার ব্যাপার নয়, এটি স্বীকৃতির প্রশ্ন। জীবনের শুরুতেই এমন অভিজ্ঞতা শিশুদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।”

প্রশাসনিক জটিলতা ও দায়িত্ব এড়ানোর অভিযোগ

তারাগুনিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, “আমাদের বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। কিন্তু তারা এখনো টাকা না পাওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। ধারণা করছি, প্রশাসনিক জটিলতার কারণেই বিলম্ব হচ্ছে।”

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমি সদ্য যোগদান করেছি। গেজেট প্রকাশিত হয়েছে বলে জানি। অর্থ ছাড়ের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্ব।”

তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, “বৃত্তির অর্থ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হাতে থাকে না। শিক্ষার্থীরা যেসব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, তারাই বিষয়টি দেখে।”

অন্যদিকে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথ দপ্তরে পাঠালেও এখনও শিক্ষার্থীদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছেনি। কেন বিলম্ব হচ্ছে, তা তাদেরও জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানি না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিচ্ছি।”

আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে

অভিভাবকদের মতে, বৃত্তির টাকা হয়তো খুব বড় অঙ্ক নয়, কিন্তু এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা ও স্বীকৃতি। সময়মতো তা না পাওয়ায় তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। দ্রুত অর্থ ছাড় ও বিতরণ কার্যক্রম জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

৩০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন