বিচারক ও রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫ ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদীর করা অভিযোগের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন মামুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, মামলার শুনানিকালে বিচারক বা রাষ্ট্রপক্ষের কেউ বাদীর সঙ্গে অশোভন বা অসম্মানজনক আচরণ করেননি।
বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাখ্যা
প্রসিকিউটর শরীফ উদ্দিন বলেন, “ধর্ষণ মামলার বাদী এর আগে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে আরেকটি মারধরের মামলা করেছিলেন, যেখানে তিনি নিজেকে তার স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। ধর্ষণ মামলাটি তদন্তে প্রথমে পিবিআই সত্যতা না পাওয়ার প্রতিবেদন দেয়। পরবর্তীতে বাদীর নারাজির পর মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয় এবং সিআইডির তদন্তে অভিযোগের আংশিক সত্যতা পাওয়ার ভিত্তিতে আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।”
তিনি আরও বলেন, “আসামি মাহমুদুল হাসান আত্মসমর্পণের পর রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। তবে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।”
অভিযোগ অস্বীকার
বাদীর অভিযোগ সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “শুনানির সময় কোনো ধরনের আপসের চাপ দেওয়া হয়নি। বিচারকও কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করেননি। বরং মামলার সব প্রক্রিয়া আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। বাদীকে আদালতে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব অভিযোগ বাদী সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিচারক ও আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা।”
মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের ১ এপ্রিল বাদী নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তার দাবি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ঢাকার একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মামলার তদন্তে পিবিআই প্রথমে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার প্রতিবেদন দেয়, কিন্তু সিআইডির তদন্তে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে। আদালত ২৬ জুন অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর ১৪ জুলাই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
উচ্চ আদালতে অভিযোগ ও গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
৪ আগস্ট বাদী নারী হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর বিচারকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে গণমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, বিচারক তাকে হোটেলে ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন এবং আপসের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে