এনবিআরের আন্দোলন : আরও চার কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় দাপ্তরিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরও চার কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে জারি করা পৃথক চারটি আদেশে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। আদেশগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন:
সাধন কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত কমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট
আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান, অতিরিক্ত কমিশনার, কাস্টমস হাউস, মোংলা
সানোয়ারুল কবির, যুগ্ম কমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি, চট্টগ্রাম
সাইদুল ইসলাম, উপকমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা
আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ১২ মে ২০২৫ তারিখে সরকার কর্তৃক জারি করা "রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ" এর বিরোধিতায় চলমান আন্দোলনের সময় এসব কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া কর্মীদের কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে অংশ নিতে উৎসাহিত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা ৩৯(১) অনুসারে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ সময় তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত এনবিআরের আন্দোলনের জেরে মোট ৩১ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং আরও ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। বরখাস্ত ও তদন্তাধীন কর্মকর্তাদের অধিকাংশই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পরিচালিত আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ—রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা—গঠনের অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর পর থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তারা ‘যৌক্তিক ও অংশগ্রহণমূলক সংস্কার’-এর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করা হয়। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন শেষ হলেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
১২৮ বার পড়া হয়েছে