সর্বশেষ

জাতীয়

ভোলাগঞ্জে পাথর লুটে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল: উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি দাবি করেছেন, পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ অথবা নীরব সমর্থন ছিল, যা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “সরকারের কাজ নীতিমালা প্রণয়ন করা, এবং আমরা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছি—সিলেটের ১৭টি এলাকায় পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ। মাঠ পর্যায়ে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব প্রশাসনের।”

পাথর লুটের সময় উপদেষ্টারা দায়িত্বে ছিলেন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা মাইক্রোম্যানেজমেন্ট করতে পারি না। তবে আমরা স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১০-২০ বছরে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কোনো মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে যেতে দেখেছেন? আমরা গিয়েছি, আক্রান্ত হয়েছি, তবু বার্তা দিয়েছি—লুটপাট মেনে নেওয়া হবে না।”

উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েই লুটের ঘটনা ঘটেছে। যদিও তিনি জানান, ঘটনার পর তিন দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে পাথর ভাঙার মেশিনগুলোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে রাজনৈতিক চাপে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।

“সর্বদলীয় রাজনৈতিক চাপ, ধর্মঘটের হুমকি—এসব কিছু মিলিয়ে প্রশাসন হয়তো সাহস হারিয়ে ফেলেছে,” বলেন তিনি। “কিন্তু জনগণের প্রতিবাদই আজ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে লুটপাটকারীরা আর সহজে সাহস পাবে না।”

উপদেষ্টা জানান, মামলার মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করা হচ্ছে কিনা, সেটিও তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। “আমি একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে দায়িত্ব নেব, তবে পাথর লুটের পুরো দায় আমার নয়।”
 

১২২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন