সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

উচিত শিক্ষা দেয়া হবে : ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সিন্ধু নদ থেকে পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধের সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পাকিস্তান তার পানির অধিকার রক্ষায় কোনো আপস করবে না।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, “আমি শত্রুদের পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না। যদি আপনারা আমাদের পানি আটকে রাখার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং এ সংক্রান্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে আপনাদের এমন শিক্ষা দেব যা কখনো ভুলবেন না।”

এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে ভারতের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত, যা আসে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া একটি প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার পর। ওই হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি পর্যটক নিহত হন। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

চুক্তি স্থগিতের ফলে সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম নদীর পানিপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়, যা পাকিস্তানের কৃষিখাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে।

৮ আগস্ট আদালত রায় প্রদান করে, যেখানে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি পুনরায় কার্যকর করার এবং ভারতকে চুক্তিতে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত আরও নির্দেশনা দেয় যে, ভারত যদি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে বাঁধ নির্মাণ করতে চায়, তবে তা চুক্তির শর্তানুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই করতে হবে।

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তান এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভারতের প্রতি চুক্তিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও। ৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা ভারতের বাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যখন তা সম্পন্ন হবে, তখন ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরে সেটি ধ্বংস করে দেব। সিন্ধু নদ ভারতের পারিবারিক সম্পত্তি নয়, এবং আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রেরও কোনো অভাব নেই।”

এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন