আগামীকাল সব দলের কাছে খসড়া সনদ তুলে দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া সনদ আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২২তম বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের মধ্যে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, তার একটি তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। আশা করছি, আগামীকাল একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ তাদের কাছে তুলে দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছেন, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সচেষ্ট আছি। এ কাজে আপনাদের সহযোগিতা যেমন পেয়েছি, তেমনটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করি।’
নারী প্রতিনিধিত্ব–সংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত খসড়া অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কাছে তুলে দেওয়া হবে।
আলোচনায় মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রশ্নে সব দল নীতিগতভাবে একমত হলেও, সংবিধানে এ বিষয়ে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা নিয়ে এখনো কিছু ভিন্নমত রয়েছে বলেও জানান আলী রিয়াজ। বিএনপি কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশ ও আপত্তিসমূহ কমিশনের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে, যা আলোচনাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রস্তাব এখনো চূড়ান্ত না হলেও, অন্যান্য বিষয়গুলোতে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী রিয়াজ।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রের মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বসহ মোট সাতটি বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের শুরুতে আলোচ্যসূচি হিসেবে যে সাতটি বিষয় তুলে ধরা হয়, তা হলো—
১. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব
২. সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান
৩. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব [সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৩)]
৪. রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি ও ইলেকটোরাল কলেজ
৫. উচ্চকক্ষের গঠন ও এখতিয়ার
৬. মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ
৭. রাষ্ট্রের মূলনীতি
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।
১৮৭ বার পড়া হয়েছে