জাতীয়

রিয়াদের বাসা থেকে কোটি টাকার চেক উদ্ধার, ডিএমপির চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫ ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা আদায়ের চেষ্টায় গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ)–এর বাসা থেকে মোট ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রিয়াদের বাসা থেকে এসব চেক উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলাবাগান থানায় পৃথক একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

চাঁদা আদায়ে হাতেনাতে গ্রেফতার
২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় আরও ৪০ লাখ টাকা দাবি করতে গেলে রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে তারা ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করে বলেও অভিযোগ উঠে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫), সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) ও আমিনুল ইসলাম (১৩)।
তাদের মধ্যে রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং ইব্রাহীম ছিলেন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক। সিয়াম ও সাদাব সংগঠনের সদস্য এবং আমিনুল একজন স্কুলছাত্র।

ঘটনার পরপরই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তিনজনকে বহিষ্কার করে এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে।
এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন,

"বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে কোনো সংগঠন এমন অপরাধের দায় স্বীকার করে দেশের সব ইউনিট স্থগিত করেনি। আমরা চাই, ‘বৈছাআ’ (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)–এর ব্যানার ব্যবহার করে কেউ যেন অপরাধ করতে না পারে।"
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধে জড়ালে যেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

রিমান্ডে নেওয়া ও মামলার অগ্রগতি
ঘটনার পর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলায় চার আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন: রিয়াদ, ইব্রাহিম হোসেন, সিয়াম ও সাদাব।

চাঁদাবাজির বিস্তৃত বিবরণ
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৭ জুলাই রিয়াদ ও অপু নামের এক সহযোগী গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর ২৬ জুলাই ফের বাকি অর্থ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন তারা।

চেক উদ্ধার ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা
চাঁদাবাজির ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে রিয়াদের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া চেকগুলো নিয়ে পৃথক তদন্ত চলছে। ডিএমপির দাবি, এসব চেক আরও বড় কোনো অর্থনৈতিক অপরাধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

১৫৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন