মুরাদনগরের ঘটনায় রহস্যের জট খুললেন ভুক্তভোগী নারী

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী, যার মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনার পেছনের রহস্যের কিছু অংশ জনগণের সামনে আনতে চান ভুক্তভোগী নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, মামলা এখন তিনি তুলতে চান, কারণ তার কথায়, স্বামী তার ওপর রাগ দেখিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।
রোববার তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমাকে কেউ চাপ দেয়নি, আমি নিজে মামলা করেছি, এখন আবার তুলতে চাই। আমি ১০ জনের জন্য দোয়া করি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কেউ চাপ দেয়নি, টাকা লোভ দেখায়নি। আমার বাবার বাড়ির লোক বলেছে, ‘তোর মানসম্মান গেছে, এখন কেস করলেও কিছু হবে না।’"
মামলার বিষয়ে তিনি আরো জানান, “আমি মামলাটা করছিলাম ভালো জন্য। এখন আর জামাইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার সময় আমি স্বামীসহ অন্য কারো সঙ্গে রাগারাগি করিনি। আমার স্বামী এইসব কিছুই করেন না। এখন তিনি ফোনও দেন না। ঘটনা আমার বাবার বাড়িতে হয়েছে।”
ভুক্তভোগী নারী ফজর আলীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে বলেন, “তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি বাড়িতে খারাপ উদ্দেশে এসেছেন। তবে তার সঙ্গে আমার মায়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয় রয়েছে।”
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার আমি ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাসায় ছিলাম। পরিবারের অন্য সবাই একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফজর আলী তার বাড়ি থেকে এসে দরজা না খোলায়, সে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর সে অত্যাচার চালায়। পরে আরও কিছু ছেলে আসে, যারা আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফজর আলী ও তার ভাইয়ের মধ্যে কিছু ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঝামেলার এক সপ্তাহ পরে সে আমার বাড়িতে আসে। তখন সে অত্যাচার চালায়। তার আসার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। টাকা-পয়সার লেনদেনের বিষয় ছিল।”
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “আমার মা তখন টাকা আনছিল। পরে ফজর আলী টাকা চাইতে আসে। আমার মা তখন বলেছিল, ‘৫০ হাজার টাকা দাও।’ এরপর দুই দিন পার হয়ে যায়, টাকা দেওয়া হয়নি। তখন আমি ফোন করে বলেছি, ‘আমার মায়ের কাছে টাকা চাইছে, আপনি কি করবেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘দেব।’ টাকা-পয়সা নিয়ে কথা বলছিলাম, কোনো সম্পর্কের ব্যাপার ছিল না।”
তিনি আরো জানান, “পরে টাকা চাইতে গেলে, আমি বলেছি, ‘আমার শশুরবাড়ি থেকে আসছি।’ তবে এর বেশি কিছু তিনি উল্লেখ করেননি। এই ঘটনা ঘিরে অনেক কিছুই এখনো ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে।”
১২৭ বার পড়া হয়েছে