আলোনসো যুগের সূচনা রিয়ালে, ক্লাব বিশ্বকাপে ‘নায়ক’ কোচই

ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার ডাগআউটে দাঁড়াতে যাচ্ছেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় সৌদি ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মাঠে নামছে আলোনসোর রিয়াল।

ক্লাব বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেয় রিয়াল। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্লাবের বর্তমান আবেগ—সবচেয়ে বড় জায়গাটা দেওয়া হয়েছে কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কিংবা জুড বেলিংহামকে নয়, বরং নতুন কোচ আলোনসোকে। বিশ্বসেরা তারকাদের ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন রিয়ালের এই ‘ঘরের ছেলে’।

মাত্র কদিন হলো রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছেন আলোনসো, তবে ইতিমধ্যেই তার প্রতি ভক্তদের আবেগ প্রবল। সামাজিক মাধ্যমে সমর্থকদের পোস্টে ফুটে উঠছে আশাবাদ। অনেকে তুলনা টেনেছেন সদ্য বিদায়ী কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে।

আনচেলত্তি খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দিতেন, আর আলোনসো? অনুশীলনে প্রতিটি মুহূর্তে সক্রিয়, শিষ্যদের নির্দেশনা দিতে কখনো থামেন না। কখনো থামিয়ে দেন খেলা, বোঝান খুঁটিনাটি। প্রয়োজন হলে চিৎকার করতেও পিছপা হন না। তাকে ঘিরে তাই ভক্তদের প্রত্যাশার পারদ চড়ছে।

তবে রিয়াল মাদ্রিদে কোচিংয়ের দায়িত্ব কোনো সহজ কাজ নয়। আজ আপনি নায়ক, কাল ব্যর্থ হলেই বিদায়। এর বড় উদাহরণ আনচেলত্তি নিজেই—চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী কোচকে বিদায় নিতে হয়েছে একটি শিরোপাহীন মৌসুমের পরই। তাই আলোনসোর পথও মোটেই মসৃণ নয়।

আলোনসো নিজের ফুটবল দর্শনে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন রাফা বেনিতেজ, হোসে মরিনহো ও পেপ গার্দিওলার কাছ থেকে। ২৬ মে রিয়ালে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই আভাস দিয়েছিলেন তিনি ডায়নামিক ফুটবলের পক্ষপাতী। বলেছিলেন, ‘বর্তমান ফুটবলে নমনীয়তা জরুরি। আমরা চার বা তিন ডিফেন্ডার দিয়েও খেলতে পারি—সিস্টেম বদলাতেই পারে।’

রিয়ালে দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব বেশি সময় পাননি আলোনসো। তবুও আত্মবিশ্বাসী তিনি। ক্লাব বিশ্বকাপের আগে বলেছেন, ‘আমরা তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এখানে এসেছি। ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত যেতে চাই।’

এখন দেখা যাক, আলোনসোর হাত ধরে রিয়াল কতটা যেতে পারে।