ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েনের অভিযোগে মামলা করল ক্যালিফোর্নিয়া

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫ ৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পেন্টাগনের বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট একতরফাভাবে কোনও রাজ্যে সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা রাখেন না। লস অ্যাঞ্জেলেসে সাম্প্রতিক সহিংস অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর ঘটনায় রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা মামলার পর বলেন, “এই পদক্ষেপ শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং আইনবিরুদ্ধ এবং বিপরীতমুখীও বটে।”
এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশ ও ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বাহিনী অভিযান চালালে স্থানীয় বাসিন্দারা তা প্রতিরোধ করেন। প্যারামাউন্ট শহরতলিতে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে পুলিশের বিরুদ্ধে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল ছোড়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমে ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠায়। পরবর্তী উত্তেজনার মধ্যে আরও ২,০০০ গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম শুরু থেকেই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হলো।
মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া দাবি করেছে, এখন যারা মোতায়েন আছেন, তাদের যেন রাজ্য প্রশাসনের অধীনে এনে কেবল তাদের নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি বলেন, “গভর্নর নিউসাম আত্মসম্মান রক্ষার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তিনি যেন ভুলে না যান—জনগণের নিরাপত্তাই সবার আগে।”
তবে গভর্নর নিউসাম জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সেনা প্রত্যাহার করা হলে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনার হাতে এই সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের ক্ষমতা আছে—দয়া করে সেটি ব্যবহার করুন।”
এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো দেশের আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
১২১ বার পড়া হয়েছে