ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ঢাকায় কোরবানি, পরিচ্ছন্নতায় সিটি করপোরেশন

রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫ ৪:০৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির দৃশ্য দেখা গেছে।
ইসলামি বিধান অনুযায়ী ঈদের দিন ও তার পরবর্তী দুই দিন, অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পশু কোরবানি দেওয়ার সুযোগ থাকায় অনেকেই দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন। কসাই সংকটও এ সিদ্ধান্তের পেছনে বড় একটি কারণ।
রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় মুসল্লিদের। ফজরের নামাজের পরপরই অনেকে পশু জবাই শুরু করেন। রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় আমরা দ্বিতীয় দিন কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নিই। আজ অনেকটা নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানির তিন দিনই সমান। তাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কোরবানি কবুল করা একমাত্র আল্লাহর এখতিয়ার।”
একই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রামপুরার আরেক বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঈদের দিন কোরবানি করতে পারিনি, তবে আজ দিতে পারায় সন্তুষ্ট। কসাই না পাওয়ায় অনেকেই আজ কোরবানি দিচ্ছেন।”
খিলগাঁওয়ের মো. হাসান বলেন, “আমরা ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মাংস তিনভাগে ভাগ করে বিতরণ করছি। কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আত্মত্যাগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি।”
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তথ্যমতে, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। রাতের মধ্যেই এসব পশুর বর্জ্য অপসারণ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়, পরে সেগুলো মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্প করা হয়।
ডিএসসিসি’র তথ্য অনুযায়ী, এবার ১০ হাজারেরও বেশি জনবল, ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টরসহ মোট ২০৭৯টি যানবাহন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশ নিয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলনের ২০৭টি গ্যালন ও ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদের দিন উত্তর সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৭ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, যা মোট বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। পরবর্তী দুই দিনও বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, “ঢাকাবাসী তাদের সুবিধামতো সময়ে কোরবানি দিচ্ছেন। সকাল, বিকেল ও রাত—সবসময়ই আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে।”
সন্ধ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে শতভাগ অপসারণ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
১০৭ বার পড়া হয়েছে