সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

সুদানের দারফুরে কার্গো বিমানের অবতরণে সঙ্গে সঙ্গে বোমা হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৫ জুন, ২০২৫ ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সুদানের দারফুর অঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করা একটি বিমানবন্দরে বুধবার একটি কার্গো বিমান অবতরণের পরপরই বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালার বিমানবন্দর কয়েক সপ্তাহ ধরে সুদানের সেনাবাহিনীর বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এই হামলা একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা করেছে।

সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের নেতৃস্থানীয় মোহাম্মদ হামদান দাগলোর উভয় পক্ষ এখনও এই হামলা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানান, “সকাল ৫:৩০ মিনিটে আমি একটি কার্গো বিমান রানওয়েতে অবতরণ করতে দেখেছি। আধাঘণ্টা পর বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ধোঁয়া দেখতে পাই।” এই বক্তব্য আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন।

নিয়ালার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ বিভিন্ন এলাকা জুড়ে প্রায় এক ঘণ্টা শোনা গেছে। তারা সবাই নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে আরএসএফ নিয়ালার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে বেসামরিক জনগণের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনা বেড়েছে।

গত মাসেও একটি কার্গো বিমানে হামলা হয়েছিল, যেটি আরএসএফের সেনাঘাঁটিতে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য নিয়ালায় অবতরণ করছিল বলে ধারণা করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় নিয়ালায় বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালায়, তখন তারা নিয়ালার আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় বিমান থেকে বোমা ফেলে, যা পাঁচটি বিস্ফোরণে ৩২ জনের প্রাণহানির কারণ হয়।

২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে হাজার হাজার লোক মারা গেছে, ১.৩ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং এটি বিশ্বে সবচেয়ে বড় ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতি সংকটের সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধের ফলে সুদান কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে সেনাবাহিনী মধ্য, উত্তর ও পূর্ব অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, আর আরএসএফ ও তাদের মিত্ররা দক্ষিণ ও দারফুরের অধিকাংশ অংশ দখল করে রেখেছে।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন