সর্বশেষ

সারাদেশ

দৌলতপুরে গ্রীষ্মেও বাঁধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন

আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গ্রীষ্মকালেও বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আদাবাড়িয়া ধর্মদহ গ্রামের কৃষকেরা।

শীতকালীন সবজির গ্রীষ্মকালীন চাষ করে তাঁরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বাঁধাকপি চাষ হয়েছে ৬৭ হেক্টরে এবং ফুলকপি ২ হেক্টরে। উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলায়।

ধর্মদহ গ্রামের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও সমপরিমাণ লাভের আশা করছেন তিনি। একই গ্রামের চাষি আজাদ হোসেন ৩৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে ৩০ হাজার টাকা খরচে ৮৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

আরেক চাষি লালন হোসেন দেড় বিঘা জমির কপি বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারদর কমে যাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী পুরো টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, বাজারদরের হঠাৎ পতনে অনেক কৃষক কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। কেউ কেউ কপি ঘরে রেখেই বাজার মূল্য বাড়ার অপেক্ষা করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতি পিস কপি পাইকারি বাজারে মাত্র ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমে গেছে। ঢাকায় নিয়ে যেতে এক ট্রাক কপির পরিবহন খরচ পড়ছে ৩০-৪০ হাজার টাকা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাইউম মিলন বলেন, "কৃষকদের আমরা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।"

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান, “দৌলতপুরে প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন এবং এতে স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।”

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন