ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলো পিএসজি,৫-০ গোলের বিধ্বংসী জয়

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অবশেষে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে স্বপ্নপূরণ হলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)।
১৯৯৩ সালে অলিম্পিক মার্শেইর ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর প্রথমবারের মতো আরেকটি ফরাসি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলো মিউনিখ থেকেই। ২০২৫ সালের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো পিএসজি।
শুধু ইউরোপসেরার মুকুটই নয়, এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে পিএসজির মৌসুমের ট্রেবল শিরোপাও।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে একেবারেই একপেশে ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণের ধারায় এগিয়ে ছিল তারা। প্রথম ১৫ মিনিটেই বল দখলে পিএসজির আধিপত্য ছিল ৬৩ শতাংশের বেশি। সেই আধিপত্যই দ্রুত ফলও এনে দেয়।
১২ মিনিটে ভিতিনহার নিখুঁত পাস থেকে গোলের সূচনা করেন সাবেক ইন্টার ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। এরপর ২০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন দুয়ে। ডেম্বেলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় দুর্দান্ত এক আক্রমণ সাজিয়ে ডি-বক্সে ফাঁকা জায়গা থেকে বল জালে জড়ান এই তরুণ উইঙ্গার।
প্রথমার্ধে ইন্টার মিলান কোনো জবাবই দিতে পারেনি। পিএসজির চাপের মুখে নিজেদের গুছিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় তারা। বিরতিতে যায় ২-০ গোলের পিছিয়ে থেকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইন্টার। কিন্তু পিএসজির গোছানো রক্ষণে বারবার থেমে যেতে হয় তাদের। আর এই সুযোগে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়াতে থাকে ফরাসি ক্লাবটি।
৬৩ মিনিটে ভিতিনহার অ্যাসিস্টে চতুর্থ গোল করেন ওসমান ডেম্বেলে। এরপর ৭৩ মিনিটে কাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। ম্যাচের শেষদিকে, ৮৬ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সেনি মায়ুলু গোল করে জয়কে পরিণত করেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ইতিহাসে অন্যতম বড় ব্যবধানের জয়ে।
ইন্টারের হয়ে পুরো ম্যাচে প্রথম গোলমুখে শট আসে ৭৪তম মিনিটে, যা তাদের অসহায়ত্বেরই প্রতিচ্ছবি। বিপরীতে পিএসজি বারবারই কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ানক হয়ে ওঠে।
একসময় মেসি-নেইমার-এমবাপে যুগে যে স্বপ্নপূরণ হয়নি, এবার সেটিই সম্ভব হয়েছে ডেম্বেলে, ভিতিনহা, হাকিমি, কাভারাৎসখেলিয়া ও দুয়ের মতো তারকাদের হাত ধরে।
ফাইনালের এই জয় শুধু পিএসজির জন্য নয়, পুরো ফরাসি ফুটবলের জন্যও এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন এখন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।
১৩৪ বার পড়া হয়েছে