সর্বশেষ

সারাদেশ

নতুন যুগের ধান: গাকৃবির ‘জিএইউ ধান-৩’

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ২৯ মে, ২০২৫ ১২:২৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি) সফলভাবে উদ্ভাবন করেছে একটি নতুন সুগন্ধিযুক্ত, জিঙ্কসমৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধক্ষম ধানের জাত — ‘জিএইউ ধান-৩’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. নাসরীন আক্তার আইভীর নেতৃত্বে দীর্ঘ চার বছর ধরে পরিচালিত গবেষণার ফল এই উন্নত জাত।

বিশেষ পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই ধানজাতটি প্রিমিয়াম মানের হওয়ায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার জিঙ্ক ও লৌহ শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আব্বাসউদ্দীনের তথ্য অনুযায়ী, এই নতুন জাত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে গাকৃবির উদ্ভাবিত ধানের মোট সংখ্যা ৯০-এ পৌঁছেছে — যা দেশের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

২০২১ ও ২০২২ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষের পর এ জাতটি সন্তোষজনক ফলন দেয়। ফলস্বরূপ, ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল জাতীয় বীজ বোর্ড ‘জিএইউ ধান-৩’ কে অনুমোদন প্রদান করে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
উন্নত গঠন: গাছটি বড় আকৃতির, কাণ্ড মোটা এবং অধিক শাখা-প্রশাখাসম্পন্ন হওয়ায় খড় উৎপাদনেও কার্যকর, যা পশুখাদ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
ফলন: হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ৫.৫ থেকে ৬ টন, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় ১৫% বেশি।
পরিপক্বতার সময়: আমন মৌসুমে প্রায় ৩ মাস ও বোরো মৌসুমে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ: এতে অ্যামাইলেজ এনজাইম রয়েছে প্রায় ২৬%, যা হজমে সহায়ক এবং জিঙ্কের উচ্চ মাত্রা শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
সুবাস: রান্নার সময় এর মৃদু সুবাস ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়াবে।
জলবায়ু সহনশীলতা: এটি পরিবেশের বৈচিত্র্য সহ্য করতে সক্ষম এবং রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধেও কার্যকর।
ড. নাসরীন আক্তার আইভী বলেন, “শুধু উৎপাদন বাড়ানো নয়, খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করাও আজকের সময়ের চাহিদা। জিএইউ ধান-৩ সেই লক্ষ্যেই একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”

গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এটিকে গাকৃবির কৃষি গবেষণার একটি গৌরবময় অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “জিএইউ ধান-৩ শুধু একটি নতুন জাত নয়, এটি ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতে এক অনন্য সংযোজন।”

 

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন