সর্বশেষ

জাতীয়হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, হাদির অবস্থা সংকটজনক : চিকিৎসক
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
সারাদেশগাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল গ্রেপ্তার
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
সারাদেশ

চাটমোহরে অফিস ভাঙচুরের মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ১:৫১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম নীচ বাজার এলাকায় একটি অফিস ভাঙচুরের মিথ্যা মামলা দায়ের করে আপন দুই ভাইসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তদের দাবি, প্রতিহিংসার জেরে এই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

গত ৮ মে (বৃহস্পতিবার) চাটমোহর আমলী আদালত-৪-এ মামলাটি (মামলা নম্বর: সিআর ২৬৯/২০২৫) দায়ের করেন সোহেল রানা। মামলায় তার আপন বড় ভাই শামীম হোসেন রাঙ্গা ও রিমাল হোসেনসহ ১৩ জনকে নামীয় এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও হযরত আলী উপজেলা বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক বলে জানা গেছে। বাকি অভিযুক্তরাও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।

মামলার অভিযোগে সোহেল রানা উল্লেখ করেন, তিনি মূলগ্রাম নীচ বাজার এলাকায় ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংঘ’ নামের একটি ক্লাব ভাড়া দিয়েছিলেন, যেখানে দলীয় কার্যক্রম চলত। গত ২৫ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে জমি সংক্রান্ত আলাপের সময় প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপর হামলা চালায় এবং ক্লাবের ভেতরের আসবাবপত্র, চেয়ার-টেবিল ও রাজনৈতিক ব্যানার ভাঙচুর করে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি করে।

তবে সরেজমিনে ১২ মে (সোমবার) গেলে ক্লাব বা অফিসে কোনো ধরনের ভাঙচুরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ব্যানার-ফেস্টুন অক্ষত, চেয়ার-টেবিলও ছিল মাত্র কাত করে রাখা। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং সোহেল রানা নিজেই তদন্ত টিম আসার আগেই চেয়ারগুলো কাত করে রেখে ‘ভাঙচুরের দৃশ্য’ সাজিয়েছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা সোহেল রানা দেশে ফিরে বড় ভাই রাঙ্গার নির্মিত একটি মার্কেটের উত্তরের দুটি দোকান দাবি করেন। কিন্তু রাঙ্গা দোকান রেখেছিলেন দক্ষিণ পাশে। এ নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। পরে সোহেল ওই উত্তরের একটি দোকানে হঠাৎ ‘ক্লাব অফিস’ বানিয়ে রাজনৈতিক ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

অভিযুক্তদের দাবি, পারিবারিক দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ১২ নম্বর আসামি হযরত আলী বলেন, “কোনো ভাঙচুর হয়নি, বরং তদন্তকে প্রভাবিত করতে সোহেল নিজেই নাটক সাজিয়েছেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে তিনি রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাচ্ছেন।”
অন্য এক অভিযুক্ত ছুরমান আলী বলেন, “ওইদিন ভাইদের মধ্যে ঝগড়া হয়, সেটার ভিডিও প্রমাণও আছে। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে মামলার বাদী সোহেল রানা বলেন, “আমার ভাই ও তার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধর করেছে। থানায় গেলে তারা আপসের কথা বলে বসিয়ে রাখে। কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”

তবে মামলার অভিযোগ অনুযায়ী অফিস ভাঙচুরের সত্যতা না মেলায় এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। যদি আদালত থেকে তদন্তের নির্দেশ আসে, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

৩৬১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন