সর্বশেষ

সারাদেশ

চাটমোহরে অফিস ভাঙচুরের মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ১:৫১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম নীচ বাজার এলাকায় একটি অফিস ভাঙচুরের মিথ্যা মামলা দায়ের করে আপন দুই ভাইসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তদের দাবি, প্রতিহিংসার জেরে এই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

গত ৮ মে (বৃহস্পতিবার) চাটমোহর আমলী আদালত-৪-এ মামলাটি (মামলা নম্বর: সিআর ২৬৯/২০২৫) দায়ের করেন সোহেল রানা। মামলায় তার আপন বড় ভাই শামীম হোসেন রাঙ্গা ও রিমাল হোসেনসহ ১৩ জনকে নামীয় এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও হযরত আলী উপজেলা বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক বলে জানা গেছে। বাকি অভিযুক্তরাও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।

মামলার অভিযোগে সোহেল রানা উল্লেখ করেন, তিনি মূলগ্রাম নীচ বাজার এলাকায় ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংঘ’ নামের একটি ক্লাব ভাড়া দিয়েছিলেন, যেখানে দলীয় কার্যক্রম চলত। গত ২৫ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে জমি সংক্রান্ত আলাপের সময় প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপর হামলা চালায় এবং ক্লাবের ভেতরের আসবাবপত্র, চেয়ার-টেবিল ও রাজনৈতিক ব্যানার ভাঙচুর করে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি করে।

তবে সরেজমিনে ১২ মে (সোমবার) গেলে ক্লাব বা অফিসে কোনো ধরনের ভাঙচুরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ব্যানার-ফেস্টুন অক্ষত, চেয়ার-টেবিলও ছিল মাত্র কাত করে রাখা। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং সোহেল রানা নিজেই তদন্ত টিম আসার আগেই চেয়ারগুলো কাত করে রেখে ‘ভাঙচুরের দৃশ্য’ সাজিয়েছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা সোহেল রানা দেশে ফিরে বড় ভাই রাঙ্গার নির্মিত একটি মার্কেটের উত্তরের দুটি দোকান দাবি করেন। কিন্তু রাঙ্গা দোকান রেখেছিলেন দক্ষিণ পাশে। এ নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। পরে সোহেল ওই উত্তরের একটি দোকানে হঠাৎ ‘ক্লাব অফিস’ বানিয়ে রাজনৈতিক ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

অভিযুক্তদের দাবি, পারিবারিক দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ১২ নম্বর আসামি হযরত আলী বলেন, “কোনো ভাঙচুর হয়নি, বরং তদন্তকে প্রভাবিত করতে সোহেল নিজেই নাটক সাজিয়েছেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে তিনি রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাচ্ছেন।”
অন্য এক অভিযুক্ত ছুরমান আলী বলেন, “ওইদিন ভাইদের মধ্যে ঝগড়া হয়, সেটার ভিডিও প্রমাণও আছে। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে মামলার বাদী সোহেল রানা বলেন, “আমার ভাই ও তার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধর করেছে। থানায় গেলে তারা আপসের কথা বলে বসিয়ে রাখে। কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”

তবে মামলার অভিযোগ অনুযায়ী অফিস ভাঙচুরের সত্যতা না মেলায় এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। যদি আদালত থেকে তদন্তের নির্দেশ আসে, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

১২২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন