স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে চাকরিতে ফিরছেন ডা. জোবাইদা

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে সরকারি চাকরিতে পুনর্বহৃত হতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষের পর দু-এক দিনের মধ্যেই তার পুনর্বহাল সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে জানান, "ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরেছেন এবং তিনি সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন। প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হবে।"
জানা গেছে, ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে তিনি একজন মেডিকেল অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
২০০৮ সালে এক-এগারো রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় গ্রেপ্তার হন তার স্বামী তারেক রহমান। এরপর চিকিৎসার জন্য তিনি ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে। তার আবেদন অনুযায়ী সরকার প্রথম দফায় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করলেও, পরবর্তীতে ছুটি বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে দেয় তৎকালীন সরকার। অনুমোদন ছাড়া টানা পাঁচ বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তার চাকরির অবসান ঘটে।
বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী টানা পাঁচ বছর ছুটিসহ বা ছুটি ছাড়া দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকলে চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়, যদি না সরকার ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিধিমালায় "বিশেষ পরিস্থিতিতে" ছুটি মঞ্জুরের সুযোগও রয়েছে।
এদিকে, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর উচ্চ আদালত ওই সাজা স্থগিত করে।
সবশেষ মঙ্গলবার সকালে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন। সূত্রগুলো বলছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডা. জোবাইদা রহমানকে পুনরায় সরকারি চাকরিতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
১২৫ বার পড়া হয়েছে