বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ব্যাপক জনসমাগম

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
এই প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তনের খবরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই ঢাকা এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর এলাকার দিকে আসতে শুরু করেন। তাদের প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য এবং তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
এই জনসমাগমে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। তার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নেন। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল হাসান সুজনও তার অনুসারীদের নিয়ে রাজপথে নামেন। তাদের সাথে স্থানীয় বিএনপি এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন।
নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্লেকার্ড বহন করছিলেন, যেখানে বেগম জিয়ার ছবি এবং তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ছিল। তারা 'শুভ শুভ শুভ দিন, বেগম জিয়ার আগমন', 'স্বাগতম স্বাগতম, দেশনেত্রী স্বাগতম' ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে বিমানবন্দর এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
সারাদিন ধরেই নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান করে বেগম জিয়াকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্যস্ত সময় কাটান। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করেন।
বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তনের দিনটি বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। বিমানবন্দর এলাকায় তাদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে যে দলের প্রতি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও আনুগত্য কতটা গভীর। এই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
২০৫ বার পড়া হয়েছে